কলকাতা: কয়লা পাচার কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে এবার কলকাতা পুলিশের এসিপি শান্তনু সিনহা। বুধবার তাঁকে দিল্লিতে তলব করে ইডি। এদিকে ইডি সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে আগেই তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। বুধবার ইডির দপ্তরে হাজিরাও দেন এসিপি শান্তনু সিনহা। তাঁর কাছে বেশ কিছু নথিও চেয়ে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তদন্তকারী আধিকারিকদের নির্দেশ মতো সব কিছু নিয়েই এদিন তিনিদিল্লির ইডির অফিসে পৌঁছন। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তার কোন যোগ রয়েছে তা জানতেই এই জেরা। কারণ, যে পথে কয়লা পাচার করা হত সেসময় সেখানে কর্তব্যরত ছিলেন শান্তনু সিনহা। ফলে অনুব্রতর ব্যাপারে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে এসিপি শান্তনু সিনহাকে জিজ্ঞাসাবদ করলেই, এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকেরা।
এদিকে গোরুপাচার কাণ্ডে ফের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে তলব করেছে ইডি। দিল্লিতে ইডির দপ্তরে তাঁকে হাজিরা দিতেও বলা হয়। সূত্রে খবর, এই নিয়ে পাঁচ বার তলব করা হল রাজীব ভট্টাচার্যতে। এর আগে সুকন্যা মণ্ডলকে জেরার সময় রাজীব ভট্টাচার্যকে তলব করা হয়েছিল। তার একাধিক সম্পত্তির হিসেব জানতে চেয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের অনুমান, গোরুপাচারের টাকা দিয়েই এই বিপুল সম্পত্তি তৈরি করেছেন রাজীব। আর তা এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের কাছ থেকেই। এরই পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ নেতা মলয় পিঠকেও তলব করেছে সিবিআই। তাঁর মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা একাধিক বিষয়ে নজর রয়েছে ইডির। সেই সব সম্পত্তির আর্থিক লেনদেনের হিসেব জানতেই মলয় পিটকে এই তলব বলে জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফ থেকে। কারণ এর আগে তাঁকে জেরা করে একের পর এক তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও একাধিকবার ডেকে জেরা করা হয়।