বিরাটের ঘরে হানা দেওয়ার বড়সড় শাস্তি। পারথের যে হোটেল থেকে থেকে বিরাট কোহলির রুমের ভিডিয়ো ফাঁস হয়েছে, তারা একটি বড়সড় বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। একইসঙ্গে ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
টি-২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে গিয়ে পারথ ক্রাউন হোটেলে উঠেছিলেন বিরাট কোহলি-সহ গোটা দল। বিরাটের অনুপস্থিতিতে হোটেলের এক বা একধিক কর্মী তাঁর রুমে ঢুকে ছবি, ভিডিয়ো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। সোমবার সকালে ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়োটি আপলোড করে ভীষণ বিরক্তি প্রকাশ করেন কোহলি। হইচই শুরু হতেই নড়েচড়ে বসে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তুলে নেওয়া হয় এবং তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। তাড়ানো হয়েছে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের।
আট থেকে আশি, বিরাট কোহলির অনুরাগীর সংখ্যা বিদেশেও ভুরিভুরি। তারকা ক্রিকেটার বলে ফ্যানদের অনেক আবদার সহ্য করতে হয়। অনেক সময় কাণ্ডকারখানা শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু বিরাট স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি যে পারথের হোটেলে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। বিলাসবহুল হোটেল রুমে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করাটাই ভুল। সেখানে বিরাটের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, আলমারি থেকে বাথরুমের ভিডিয়ো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়াটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হওয়া উচিত। সেটাই হয়েছে। চাকরি খুইয়েছেন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এক বা একাধিক হোটেল কর্মী।
ইনস্টাগ্রামে বিরাট লেখেন, “অনুরাগীরা তাঁদের প্রিয় খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎ পেলে ভীষণ খুশি হন। এটা আমি বুঝি এবং সম্মানও করি। কিন্তু এই ভিডিয়োটি ভয়ঙ্কর। আমি নিজের গোপনীয়তা নিয়ে সুরক্ষিত অনুভব করছি না। যদি হোটেল রুমে আমার গোপনীয়তা না থাকে, তাহলে আর কোথায় থাকবে? এই ধরনের আচরণকে আমি মোটেও সমর্থন করছি না। ব্যক্তিগত পরিসরে ঢোকা ঠিক নয়। দয়া করে অন্যের প্রাইভেসিকে সম্মান করুন। কারও গোপনীয়তাকে বিনোদনের পণ্য করে তুলবেন না।”