জেলে পার্থর পড়শি হলেন মানিক ভট্টাচার্য, শুতে হল কম্বল পেতে

একজন ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, অন্য জন বিধায়ক। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত এগোতেই জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই ওয়ার্ডে ঠাঁই হল পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিকের।শুধু তাই নয়, তদন্ত এগোতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপের যে কথোপকথন সামনে এসেছে, তা থেকে বেশ বোঝা যায় দুজনের সম্পর্ক নেহাত খারাপ ছিল না।

বেশ কিছুদিন ইডি হেপাজতে থাকার পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে মঙ্গলবারই জেল হেপাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা ২২ ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছে তাঁকে।জেল সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রতিবেশী’ হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। শুরু থেকেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পয়লা বাইশ ওয়ার্ডে রয়েছেন পার্থ। মঙ্গলবার থেকে সেই পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেন মানিকও। মঙ্গলবার তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর সেলের মেঝেতেই থাকার ব্যবস্থা করা হয়। কম্বলকে বিছানা হিসেবে ব্যবহার করে জেলের প্রথম রাত কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। সূত্রের খবর, রাতে খাবার হিসেবে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের পাতে পড়েছে রুটি, ডাল আর সবজি বা তরকারি। তা দিয়ে নৈশকালীন ভোজ সেরেছেন মানিক।

তবে শুধু মানিক নয় ওই ওয়ার্ডে মানিকের ‘প্রতিবেশী’ হিসেবে রয়েছেন অনেকেই। দুর্নীতি মামলার সব অভিযুক্তদেরই এই ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সেলে রয়েছেন, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তি প্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা প্রমুখ। আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল মানিকের নাম।উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতে ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছিল, তাতে নাম রয়েছে মানিকের। মোবাইল ঘেঁটে তদন্তকারীরা দেখেছেন, মানিকের সঙ্গে পার্থর হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছু কথোপকথন হয়েছে। এমনকি মানিক যে টাকা নিতেন, সেই বিষয়টিও পার্থকে জানিয়েছিলেন কেউ বা কারা। আর সে সব মেসেজ নাকি মানিককেই পাঠিয়ে দিতেন পার্থ। এমন অভিযোগ সামনে আসার পর আরও জোরদার তদন্ত চলে। আপাতত ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে মানিককে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − five =