বিকেল ৪টে ৫২ মিনিট থেকে খন্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখল কলকাতাবাসী

ফের এক খন্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখল কলকাতাবাসী। মঙ্গলবার বিকেল ৪টে ৫২ মিনিট থেকে কলকাতায় এই গ্রহণ  সূর্যাস্ত পর্যন্ত তা দেখা যায়। কলকাতার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই দেখা গিয়েছে এই গ্রহণ। ২৭ বছর আগে, ১৯৯৫ সালে কালীপুজোর পর দিন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আর এ বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে আজ। চাঁদের ছায়ায় আংশিকভাবে ঢেকে যাবে সূর্য।

চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দিতে পারলে হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। না পারলে হয় আংশিক সূর্যগ্রহণ বা সূর্যের বলয়গ্রাস। কিন্তু চাঁদ তার কক্ষপথে একটু ঝুঁকে থাকে বলে অমাবস্যার চাঁদ সব সময়েই সূর্যের মুখ পুরোপুরি বা আংশিক ভাবে ঢেকে দিতে পারে না। তাই অমাবস্যায় সাধারণত আমরা চাঁদ দেখতে পাই না। বছরে সূর্যগ্রহণ হয় বড়জোর দুই থেকে তিনটি। সর্বাধিক হতে পারে পাঁচটি। যেমন শেষবার হয়েছিল ১৯৩৫ সালে।
চাঁদের ছায়ার দু’টি অংশ থাকে। একটি ঘন কালো। তাকে বলা হয়, ‘আমব্রা’। সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীর যে যে এলাকা ‘আমব্রা’র মধ্যে পড়ে, সেখান থেকে সূর্যের পূর্ণগ্রাস দেখা যায়। ছায়ার আর একটি অংশের নাম ‘পেনাম্ব্রা’। ঘন কালো ‘আমব্রা’র পাশেই থাকে। সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীর যে যে এলাকা ‘পেনাম্ব্রা’র মধ্যে পড়ে, সেখান থেকে সূর্যের আংশিক গ্রহণ দেখা যায়। আর  কক্ষপথে প্রদক্ষিণের সময় চাঁদ যখন এমন একটা দূরত্বে চলে যায়, যাতে তার ছায়া সূর্যকে ঢেকে দিতে পারে না পুরোপুরি, তখনই হয় সূর্যের বলয়গ্রাস। যখন চাঁদ সূর্যের মাঝখানটাকে চাকতির মতো ঢেকে দেয়। তার পরে সেই চাকতির চার পাশ থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সূর্যের আলো। অনেকটা আংটির মতো। একেই বলে সূর্যের বলয়গ্রাস গ্রহণ। চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে। পৃথিবীর দিকে ৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থেকে। তাই পূর্ণগ্রাস, আংশিক গ্রাস ও বলয়গ্রাস মিলিয়ে বছরে ৫টির বেশি সূর্যগ্রহণ হওয়া সম্ভব নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − six =