সুপার-১২-র প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানে হারাল নিউজিল্যান্ড

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার উপর প্রত্যাশাও অনেক। শুরুতেই অবশ্য বিশাল ধাক্কা। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে যেমন দু’দেশের সমর্থকরাই রণংদেহী মেজাজে থাকেন। তেমনই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও। উদ্বোধনী ম্যাচে রোমাঞ্চকর একটা লড়াই প্রত্যাশা ছিল। যদিও ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখা যায় কিউয়িদের। শেষ অবধি বজায় রইল। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। গত দশ বছরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নিউজিল্যান্ডের পারফরম্যান্স একেবারেই ভালো নয়। ঠান্ডা মাথার উইলিয়ামসন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, অতীত নিয়ে ভাবতে চান না। মাঠেই জবাব দিলেন। প্রথমে ব্যাট করে ২০০ রানের বিশাল স্কোর এবং অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১১১ রানেই অলআউট করা। গত বারের চ্যাম্পিয়নদের ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল নিউজিল্যান্ড।

বৃষ্টির ভ্রুকুটি ছিল আজকের সুপার-১২-র প্রথম ম্যাচে। তবে নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় এ বারের টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচ। সিডনিতে টসে জিতে শুরুতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে কিউয়িরা তোলে ২০০ রান। নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি বেশ জমাট ছিল। ২৫ বলে ৫৬ রান তোলে ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে জুটি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ফর্মে থাকা ফিন অ্যালেনের উইকেট তুলে নেন অজি তারকা জশ হ্যাজলউড। মাত্র ১৬ বলে ৪২ রান করেন ফিন। যার মধ্যে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়। ২৩ বছর বয়সী অ্যালেন ব্ল্যাক ক্যাপস দলের কনিষ্ঠতম সদস্য। ওপেন করতে নেমে দ্রুত দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু রান করে যান তিনি।

ফিন ফিরলে, কনওয়েকে সঙ্গ দিতে আসেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৩ বলে ৬৯ রান যোগ করে তারা। বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ডেভন। উইলিয়ামসন (২৩), গ্লেন ফিলিপস (১২) বড় রান করতে না পারলেও কনওয়ের সঙ্গে অ্যাঙ্কর ইনিংস খেলেন। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাত্র ২৪ বলে ৪৮ রান যোগ করে ডেভন কনওয়ে এবং জিমি নিশাম। পার্থক্য গড়ে দেন কনওয়ে। অল্পের জন্য তিন অঙ্কের রানে পৌঁছানো হল না তাঁর। ৫৮ বলে ৯২ রানে অপরাজিত থাকেন কনওয়ে। নিশাম ১৩ বলে ২৬ রান করেন। ম্যাচের সেরারা পুরস্কার পেলেন কনওয়ে।

রান তাড়ায় পার্টনারশিপই গড়তে পারল না অজিরা। বরং বলা ভালো কিউয়ি বোলাররা পার্টনারশিপ গড়তে দিলেন না। শুরু এবং শেষে ট্রেন্ট বোল্টের অনবদ্য স্পেল এবং মাঝের ওভারে বাঁ হাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের স্পেল। অস্ট্রেলিয়ার বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইন আপ যেন অসহায় আত্মসমর্পন করল। সর্বাধিক রান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ২৮। অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু নিউজিল্যান্ডের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =