বীরভূম: বীরভূম জুড়ে অনুব্রতর (Anubrata Mandal) সম্পত্তিতে নজর রেখেছে সিবিআই। বাড়ি, জমি, আত্মীয়দের সম্পত্তি, রাঁধুনির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে না কোনও কিছুই। তাঁর কালী প্রতিমার এই বিপুল গয়না কোথা থেকে আসত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে গোয়েন্দাদের মনে। বিরোধীরা বলছেন, এবার তো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, কিসের টাকায় ওই গয়না আসত। এবার তাই নজর থাকছে কেষ্ট-হীন কালীপুজোয়।
করোনাকালে মায়ের গায়ের গয়নায় কমতি হয়নি। ২০২০ সালে প্রায় ৩০০ ভরি সোনার গয়না পরানো হয়েছিল প্রতিমার গায়ে। আর গত বছর মায়ের অঙ্গে উঠেছিল ৫৭০ ভরি গয়না। শোনা যায়, জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা সে সব গয়না দিতেন। আর সেগুলো নিজে হাতে পরিয়ে দিতেন অনুব্রত। ভোট হোক বা পুজো, সবেতেই অনুব্রতর উপস্থিতি বরাবরই ছিল বেশ উজ্জ্বল। এবার সেই বীরভূমের সেই বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের দুর্গা পুজো কেটেছে গরাদে। কালীপুজোতে তাঁর অব্যাহতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। প্রশ্ন উঠেছে বীরভূমে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের কালী পুজো নিয়ে।
প্রতি বার সেই কালী পুজোর জৌলুস থাকে চোখে পড়ার মতো। নিজের হাতে সোনার গয়নায় মা কালীকে সাজান অনুব্রত। এক-আধটা গয়না নয়, কয়েকশো ভরি গয়নায় সাজানো হয় কালী প্রতিমাকে। চোখ ঝলসে যাওয়ার মতো সেই প্রতিমা দেখতে যান অনেকেই। তবে এবার হয়ত অনুব্রত থাকবেন না। এলাকার বাসিন্দাদের মনে প্রশ্ন উঠছে, এবারও কি একই রকম থাকবে জৌলুস? জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, এবারও পুজো হবে নিয়ম মেনেই। তবে গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেপ্তার হওয়ায় নাকি এবার গয়না দিতে চাইছেন না অনেক ব্যবসায়ীই। তবে কি ভক্তিতে নয়, ভয়েই সে সব গয়না দিতেন ব্যবসায়ীরা?