শ্রীলঙ্কাকে দুরমুশ করে সপ্তমবার এশিয়া সেরা ভারতের মহিলা দল

এশিয়া কাপ জয় এবং আগামী টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। জোড়া লক্ষ্য নিয়ে এশিয়া কাপে নেমেছিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। দুই লক্ষ্যই পূরণ হল। ফাইনালে ৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮.৩ ওভারেই জয়। ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন স্মৃতি মান্ধানা। গ্রুপ পর্বে ব্যপক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে ভারতীয় দলে। ফাইনালে সেরা কম্বিনেশনই নামাল ভারত। সাফল্যও এল। সপ্তম বার এশিয়া সেরা ভারত। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ভারত। শেষটাও সে ভাবেই। ফাইনালের চাপ নিতে পারল না শ্রীলঙ্কা। ভারতের অনবদ্য বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে খেই হারাল শ্রীলঙ্কা। মেয়েদের এশিয়া কাপে এর আগেও চার বার ফাইনালে উঠেছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ বার ২০০৮ সালে। রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এ বারও চিত্র পাল্টালো না। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং বিপর্যয়ে বড় ভূমিকা নিলেন ভারতের তরুণ পেসার রেনুকা সিং ঠাকুর। বাকি কাজ সারলেন স্পিনাররা।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। পরিকল্পনা ছিল বোর্ডে বড় রান তুলে স্পিনে বিব্রত করা ভারতকে। তাদের প্রাথমিক পরিকল্পনাতেই ধাক্কা খেল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। চতুর্থ ওভারে হ্যাটট্রিক রেনুকার। ফেরান টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হর্ষিতা সমরবিক্রমাকে। পরের বলেই রান আউট অনুষ্কা সঞ্জীবনী। ওভারে পঞ্চম বলে হাসিনি পেরেরাকে ফেরান। রেনুকার এক ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যপক চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। উইকেট পতন যেন থামতেই চায় না। পাওয়ার প্লে-তে ৫ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ানো কার্যত অসম্ভব। শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই হল। তবে তাদের কাছে নৈতিক জয় ২০ ওভার ব্যাট করা। ৯ উইকেটে ৬৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। মাত্র দু-জন ব্যাটার দু অঙ্কের রানে পৌঁছলেন। রেনুকা ৩ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।

লক্ষ্য ছোট হলেও অতি আগ্রাসনে অস্বস্তিতে পড়ল ভারত। স্পিনারদের বিরুদ্ধে ধৈর্য দেখানো প্রয়োজন। স্ট্রাইক রোটেট করা জরুরি। পাকিস্তান ম্যাচের মতো ফাইনালেও বড় শটেই বেশি আগ্রহী দেখাল। না হলে ম্যাচটা ১০ উইকেটে জিততে পারত ভারত। চতুর্থ ওভারে ইনোকা রনবীরার বোলিংয়ে স্টেপ আপ করেন শেফালি। বলের লাইন মিস করে স্টাম্প আউট শেফালি (৫)। প্রতিযোগিতার সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী জেমাইমা রডরিগজ নীচু হওয়া বলে বোল্ড হলেন। হরমনপ্রীত কৌরের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। ফাইনালে চারে নামলেন হরমন। সঙ্গী সহ অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। হরমনপ্রীত বাউন্ডারিতে রানের খাতা খোলেন। এই জুটি আর কোনও ধাক্কা আসতে দেননি। ৮ উইকেটে ম্যাচ এবং সপ্তম এশিয়া কাপ ট্রফি ভারতের। ছয় মেরে অর্ধশতরান এবং জয় সম্পূর্ণ করেন স্মৃতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × four =