ভাইজির মাথা কেটে নিল নাবালিকা। এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানে (Rajasthan)। ৯ বছরের শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠল তাঁরই আত্মীয় ১৫ বছরের এক নাবালিকার বিরুদ্ধে। তলোয়ার দিয়ে সম্পর্কে ভাইজি ওই শিশুটির মাথা কেটে নেয় নাবালিকা। ভয়ংকর এই ঘটনা ঘটে পরিবারের অন্য সদস্যদের সামনে। পারিবারিক পূজা অনুষ্ঠানের পরেই অস্বাভাবিক আচরণ করে ওই নাবালিকা, দাবি করেছে তার বাবা-মা। তখনই সে পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এবং পাশের ঘরে ঢুকে ভাইজির মাথা কেটে নেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি রাজস্থানের দুঙ্গারপুরের (Dungarpur) আদিবাসী এলাকার একটি গ্রামের। অভিযুক্ত নাবালিকা দশম শ্রেণির ছাত্রী। হোস্টেল থেকে পড়াশুনো করত সে। দিন চারেক আগে হোস্টেল থেকে বাড়ি ফেরে। সোমবার বাড়িতে দশ মাতার পুজো ছিল। এই পুজোর জন্য গত দু’দিন না খেয়ে ছিল নাবালিকা।
নাবালিকার বাবা-মায়ের বক্তব্য, পুজো শেষ হতেই অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে তাঁদের মেয়ে। ছুটে গিয়ে পাশের ঘর থেকে তলোয়ার নিয়ে আসে। এবং মা-বাবার উপরে হামলা করে। তাঁরা পালিয়ে বাঁচলে অন্য ঘরে ঢোকে নাবালিকা। সেখানে ছিল সম্পর্কে তার ভাইজি ৯ বছরের শিশু বর্ষা। তলোয়ার দিয়ে বর্ষার গলায় কোপ বসায় নাবালিকা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুটির।স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিক নরপত সিং (Narpat Singh) বলেন, ‘পরিবারের দাবি, হঠাৎ পরিবর্তন আচরণে লক্ষ্য করা যায় নাবালিকার মধ্যে। পুজোর জন্য দু’দিন সে কিছু খায়নি। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।’