আকাদেমি অফ ফাইন আর্টসের অব্যবস্থা। কাজ করছিল না শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র। তার জেরে নাটক চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন দর্শক। আর এই অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায়কে। শুক্রবার হলের ভেতরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র কাজ না করার অভিযোগ তুলে অবিলম্বে সেখানে নাটকের শো বন্ধ করার দাবি তোলেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি আকাদেমি কর্তৃপক্ষ।
গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে কেমন গরম পড়েছে, সে কথা সকলেরই জানা। এরমধ্যেই আকাদেমি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এমন গরমেও হলের ভিতর কাজ করছে না এসি। ফলত শুক্রবার সন্ধেয় নাটক দেখতে এসে নাজেহাল অবস্থা দর্শকদের। অন্যদিকে নাটকের ভারী পোশাক পরে, মেকআপ লাগিয়ে চরম অস্বস্তিতে নাটকের কুশীলবেরাও। এদিকে দর্শকদের মধ্যেও কেউ কেউ অস্বস্তির ডেরে নাটক চলাকালীনই হল ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের অভিযোগ, এত পুরনো একটা হল। তার কোনও রক্ষণাবেক্ষণ নেই। মানুষ কেন তাহলে নাটক থেকে মুখ ফেরাবে না!
এরপরই শুক্রবার রাতেই এই ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লেখেন, ‘অবিলম্বে আকাদেমি অফ ফাইন আর্টস বন্ধ করা উচিত। আজ অভিনয় চলাকালীন ন’জন দর্শক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র দীর্ঘদিন কাজ করছে না।’ এই অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা পরিষ্কার হয়ে যায় সেখানে অন্যদের মন্তব্যে। এক দর্শক লেখেন, ‘সত্যিই খুব অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। ওঁরা এত ভাড়া নেন, আমরা সাধারণ দর্শক এত টাকা খরচ করে নাটক দেখতে যাই,কিন্তু আমরা এরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আশা করি না।’
ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বহু মানুষ অবিলম্বে আকাদেমি বয়কট করার ডাকও দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ সভার আয়োজনও চাইছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, হল ভাড়ার নামে বিপুল অর্থ নেওযা হলেও হলের ভিতরে কোনও সংস্কার হয় না। দর্শকদের বসার জায়গা শুধু নয়, গ্রিনরুমের ভিতরেও এসি চলে না ঠিক মতো। একটু ভারী পোশাক পরলেই চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়। তবে অনেকের ধারনা একেবারে বিপরীত। তাঁদের বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। যেহেতু আকাদেমির দায়িত্বভার রাজ্য সরকারের হাতে, তাই অনেকেই বলছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারকে বদনামের চেষ্টা চলছে। হয়তো কিছু অব্যবস্থা রয়েছে, তবে পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয়।