পশ্চিমবঙ্গে কুয়াশার দাপট। ওদিকে কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে বাংলাদেশও। তারই জের পড়েছে বিমান পরিষেবাতেও। ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা এতটাই কম ছিল যে ৮ টি আন্তর্জাতিক বিমান ঘুরিয়ে অবতরণ করানো হয় দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এদিন সকাল থেকেই কুয়াশায় ঢেকেছিল শহর কলকাতাও। বুধবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয় কলকাতা বিমানবন্দরেও। সকাল ৭ টা নাগাদ এয়ারপোর্টের দৃশ্যমানতা ৯০০ মিটারে নেমে আসে। এর ফলে ধীরগতিতে বিমান ওঠানামা করছিল। বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে কলকাতার বিমান পরিষেবায় তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই জানা যাচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে খবর, দৃশ্যমানতা কম থাকায় সব বিমান ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কুয়েত থেকে ঢাকাগামী জাজিরা এয়ারওয়েজের জে৯ ৫৩৩ বিমানটি ১৬৭ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু-কে নিয়ে অবতরণ করে ভোর ৫ টা আট মিনিটে। কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকাগামী বিমান বিএস ৩১৮-তে ছিলেন ১৬১ জন যাত্রী ও ৬ জন কেবিন ক্রু। এদিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী ইন্ডিগো বিমানে ছিলেন ১৬৮ জন যাত্রী ৬ জন কেবিন ক্রু। এছড়াও জাজিরা এয়ার ওয়েজের কুয়েত থেকে ঢাকাগামী বিমানে ছিলেন ১৬৫ জন যাত্রী ৬ জন কেবিন ক্রু। একইসঙ্গে আমেরিকা থেকে ঢাকাগামী বিমানে আরও একটি বিমানে ছিলেন ১২৭ জন যাত্রী ৬ জন কেবিন ক্রু। আর, আলফ এয়ার ওয়েজের বিমান একটি বাহারিন থেকে ঢাকা যাচ্ছিল ১৮২ জন যাত্রী ও ৬ জন কেবিন ক্রুকে নিয়ে।এছাড়া সালাম এয়ারওয়েজের বিমান মাস্কাট থেকে ঢাকা যাচ্ছিল ১৬২ জন যাত্রী নিয়ে, ১৫৮ জন যাত্রী নিয়ে অন্য একটি বিমান কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে এই সব কটি বিমানকেই অবতরণ করানো হয় দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এদিকে দমদম বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বিমানগুলি অবতরণ করানোর পর অপেক্ষা করা হচ্ছে আবহাওয়ার উন্নতি জন্য। বাংলাদেশের ওপর থেকে কুয়াশার চাদর সরলেই রওনা দেবে বিমানগুলি।