আগামী ১০ জুলাই রাজ্যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। মাস খানেক আগে রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মোটের উপর শান্তিতেই হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। বিধানসভা উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার কোনও খামতি রাখতে চাইছে না কমিশন। আর সেই কারণেই চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য বাড়ানো হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। অতিরিক্ত আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে চার বিধানসভা উপনির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রায়গঞ্জে অতিরিক্ত আরও চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে। একইসঙ্গে রানাঘাটে আরো ৪ কোম্পানি, বাগদায় ৪ কোম্পানি এবং মানিকতলায় অতিরিক্ত আরও ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। অর্থাৎ চার বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য রাজ্যে থাকছে ৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর আগে ৫৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং সেই মতো বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছিল। তবে রাজ্যের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে করা যায় সেই জন্য আরও অতিরিক্ত পনেরো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অর্থাৎ চার কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য রায়গঞ্জে থাকছে ১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, রানাঘাটে থাকছে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, বাগদায় থাকছে ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং মানিক তলায় থাকছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
উল্লেখ্য, এই ৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ থাকবে ১৪ কোম্পানি, বিএসএফ থাকবে ১৯ কোম্পানি, সিআইএসএফ থাকবে ১০ কোম্পানি, আইটিবিপি থাকবে ১৪ কোম্পানি এবং এসএসবি থাকবে ১৩ কোম্পানি। কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠিতে এও জানানো হয়েছে, ১০ তারিখ উপনির্বাচন শেষ হয়ে গেলে অতিরিক্ত কোন কোম্পানি আবার নিজের জায়গায় ফিরে যাবে।
প্রসঙ্গত, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বিধায়ক আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন। বাগদা কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ইস্তফা দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিলেন। সেই কারণেই এই তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচন করতে হচ্ছে। অন্যদিকে, মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে প্রয়াত হওয়ার পর এই কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন আটকে ছিল। এই কেন্দ্রের ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে মামলার কারণে উপনির্বাচন সম্পন্ন করতে কিছুটা বিলম্ব হয়।