হাওড়া: রাজ্যে ফের বিষমদের বলি!একসঙ্গে অনেক জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে মদে বিষক্রিয়ার অভিযোগ উঠল।ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার মালি পাঁচঘড়া থানার ঘুষুরির গজানন্দ বস্তিতে। এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন হাওড়ার পুলিশ সুপার। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রকাশ কর্মকার নামে একজনকে। ওই ব্যক্তি মদ বিক্রি করত বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বস্তির বেশ কিছু মানুষ মঙ্গলবার রাতে মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বমি শুরু হয়। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে এদের মধ্যে অনেকে মারা যান। খবর পেয়ে মালিপাঁচঘড়া থানার আধিকারিকরা মৃতদেহগুলি নিয়ে যায়। প্রায় ২০ জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।বিষমদ পান করার ফলেই এই কাণ্ড বলে এলাকাবাসী ও মৃতেদর পরিবারের দাবি।
এদিকে, অনেক পরিবারে মৃত ব্যক্তিদের দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে কিছু না জানিয়েই। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থাতে বাড়িতেই রয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও অসুস্থদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় টিএল জয়সোয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
ঘুষুড়ির যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেটি একটি শিল্পাঞ্চল। প্রচুর ছোট ছোট কারখানা রয়েছে সেখানে। বহু শ্রমিক কাজ করেন ওই সমস্ত কারখানায়। এলাকাবাসী জানিয়েছেন রেললাইনের পাশে বেশ কয়েকটি মদের ঠেক রয়েছে। দিনভর পরিশ্রমের পর সন্ধেয় তাঁরা ওই ঠেকে গিয়ে নেশা করেন বলেন জানান স্থানীয়দের। প্রতাপ কর্মকার নামের এক ব্যবসায়ী ওই চোলাইয়ের ঠেক চালাতেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় তাঁর ওপর রাগ গিয়ে পড়েছে স্থানীয়দের।অভিযোগ, বেআইনিভাবে মদের ঠেক চলছে। কেন ওই বেআইনি ঠেক ভেঙে দিল না প্রশাসন, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। ওই এলাকার বাসিন্দা শংকর সাউ দাবি করেন তাঁরা দাদাও ভর্তি হাসপাতালে। মদ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই পুলিশ সূত্রের খবর।
১৯৯৮ সালের কথা। এই হাওড়া শহরেই বিষমদ কাণ্ডে প্রাণ গিয়েছিল আট জনের। অসুস্থ হয়ে সত্যবালা আইডি, হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, টিএল জয়সওয়াল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শতাধিক। লিলুয়া থানা এলাকার বিবেক নগরের ওই কাণ্ড রাজনৈতিক ভাবেও তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল।