কলকাতা: ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস। ওই দিন রাজ্যের ৬১ জন শিক্ষককে ‘শিক্ষারত্ন’ (Shiksha Ratna) সন্মানে ভূষিত করতে চলেছে শিক্ষা দপ্তর। প্রসঙ্গত, যাঁরা শিক্ষক হিসেবে সমাজে বিশেষ অবদান রেখেছেন, সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যেও বিশেষ কিছু করে দেখিয়েছেন তাঁদেরকেই সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই শিক্ষা দপ্তরের তরফে নির্বাচিতদের চিঠি পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে। এবছর জেলার তুলনায় কলকাতায় শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রাপকের সংখ্যা সব থেকে বেশি। মোট সাত জন।শহর কলকাতার কৃতিদের মধ্যে রয়েছেন, একজন স্কুল শিক্ষক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন অধ্যাপক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন অধ্যাপক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ একটি কলেজের অধ্যক্ষ। কলকাতার পরেই রয়েছে নদিয়া। সেখানকার পাঁচ জন শিক্ষক পাচ্ছেন শিক্ষারত্ন। এছাড়া, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ দিনাজপুর ও কালিম্পংয়ের একজন করে শিক্ষক এই পুরস্কার পাচ্ছেন। বাঁকুড়া বীরভূম, কোচবিহার, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর ও শিলিগুড়ির দু’জন করে শিক্ষককে এই সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে।শিক্ষারত্ন পাচ্ছেন দার্জিলিং, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুরের তিনজন করে, উত্তর ২৪ পরগনা ও পুরুলিয়ার চার জন করে শিক্ষক।
৬১ জনের মধ্যে ১০ জন শিক্ষক, অধ্যাপকের হাতে ৫ সেপ্টেম্বর মিলনমেলায় রাজ্যের তরফে আয়োজিত শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। বাকিদের জেলাস্তরে পুরস্কৃত করা হবে। ওই দিনই চলতি বছরের কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এবছর মোট ১ হাজার ১৪১ জন কৃতী পড়ুয়াকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।প্রসঙ্গত, বছরের পর বছর ধরে যাঁরা ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কৃতী করে তুলছেন, জীবনের পথে এগিয়ে দিচ্ছেন, সেইসব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শিক্ষারত্ন সম্মান দিয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গত জুন মাসে ‘WB sikshaRatna award’-এর জন্য আবেদনের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল সংশ্লিষ্ট দপ্তর। ওই আবেদনের ভিত্তিতেই আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে ৬১ জন শিক্ষককে ‘শিক্ষারত্ন’ সন্মানে ভূষিত করতে চলেছে শিক্ষা দপ্তর।

