ধৈর্যের সঙ্গে খেলে পূজারার প্রথম শ্রেনির কেরিয়ারে ৬০টি সেঞ্চুরি!

কিছুদিন আগেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন। এর পরই সিদ্ধান্ত নেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলবেন। দলীপ ট্রফিতে খেলার সিদ্ধান্ত। টিমে এবং একাদশে জায়গাও হয়। প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ের প্রথম ধাপ সুন্দর ছিল না। সেন্ট্রাল জোনের বিরুদ্ধে অনবদ্য সেঞ্চুরি। যদিও তাঁর ব্যাটিং দেখার জন্য সেই পরিচিত ভিড় নেই। আলুরের সেই মাঠে পার্শ্ববর্তী একটি সিমেন্ট কারখানার কয়েকজন কাজের ফাঁকে চোখ রেখেছিলেন তারকাদের খেলায়। পৃথ্বী শ, সূর্যকুমার যাদব, পূজারা খেলছেন। সূর্য হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। পূজারা প্রথম শ্রেনির কেরিয়ারে ৬০তম সেঞ্চুরি করলেন। কেরিয়ারে একশোর বেশি টেস্ট খেলেছেন চেতেশ্বর পূজারা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে রান না এলেও অন্তত প্রথম ইনিংসে জাজমেন্ট দিয়ে বোল্ড কিংবা দ্বিতীয় ইনিংসে খোঁচা দিয়ে আউট না হলে, হয়তো ক্যারিবিয়ান সফরে তিনিও থাকতেন। দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালে ২৭৮ বলে ১৩৩ রানের ইনিংস আপাতত তাঁর কেরিয়ারে কোনও ফারাক গড়বে বলে মনে হয় না। শুধু তাই নয়, ঠিক আরও ক’টা সেঞ্চুরি করে জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ হতে পারে, তারও নিশ্চয়তা নেই। ভারতীয় ক্রিকেট এখন সামনের দিকে এগতে চাইছে। সে কারণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একঝাঁক তরুণ মুখ। টেস্টে যশস্বী জয়সওয়াল সুযোগ পেয়েছেন। পূজারার পরিবর্তে তাঁকেই একাদশে দেখা যেতে পারে। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ৬০তম সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট জোনের অবশ্য লাভ হয়েছে। প্রথম ইনিংস লিড ছিলই, সব মিলিয়ে ৩৮৪ রানে এগিয়ে তারা। ফাইনাল যেন সময়ের অপেক্ষা। চিন্নাস্বামীতে আর এক সেমিফাইনালে নর্থ জোন-সাউথ জোন সমানে সমানে লড়াই। প্রথম ইনিংসে নর্থ জোনকে ১৯৮ রানে আটকে রাখলেও সুবিধা নিতে ব্যর্থ সাউথ জোন। তারা মাত্র ১৯৫ রানেই অলআউট হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ২১১ রান করেছে নর্থ জোন। ৫ উইকেট নিয়েছেন আইপিএলে আরসিবির হয়ে দারুণ পারফর্ম করা বিজয়কুমার বিশাখ। সাউথ জোনের জয়ের লক্ষ্য ২১৫ রান। তৃতীয় দিনের শেষে ২১ রান তুলে নিয়েছে তারা। ক্রিজে দুই ওপেনার সাই সুদর্শন (৫) ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল (১৫)। ব্যাটিং বিপর্যয় না হলে ফাইনালের পথে সাউথ জোন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − nine =