সিদ্দারামাইয়ার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির চাঁদের হাট

জাতীয় রাজনীতিতে ধীরে ধীরে ফিকে হচ্ছিল কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা। এই আবহে এই দলের ‘হাত’ শক্ত করল কর্নাটকে নির্বাচনে তাদের জয়। ২২৪ টি আসন সমন্বিত কর্নাটক বিধানসভায় ১৩৫ টি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। আর দীর্ঘ জল্পনা, ভোটাভুটি ও আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রী মুখ বেছে নেয় কংগ্রেস। আর আজ ছিল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।

সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) শপথের মঞ্চে বসেছিল চাঁদের হাট। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী শিবিরের ৬ মুখ্যমন্ত্রী। হাজির ছিলেন একাধিক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তথা বিরোধী শিবিরের একাধিক দলের সুপ্রিমোরা। নিজে উপস্থিত না থাকলেও প্রতিনিধি পাঠিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

কংগ্রেসের (Congress) তরফে সরাসরি বিজেপির বিরোধী মতাদর্শে বিশ্বাসী সব বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, শুধু আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) এবং তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির কেসিআর বাদে। কারণ এই দুই দলের সঙ্গেই একাধিক রাজ্যে সরাসরি লড়াই রয়েছে হাত শিবিরের। মায়াবতীর অবস্থান নিয়ে ধন্দ রয়েছে, তাই তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হলেও মমতা নিজে না গিয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। অখিলেশ যাদবকেও গরহাজির ছিলেন। আসলে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্দার শপথের মঞ্চেই স্পষ্ট করে নিতে চাইছিলেন, ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে কাদের পাশে পাওয়া যাবে।

এদিন সিদ্দারামাইয়ার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৬ বিরোধী শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজস্থানের অশোক গেহলট, হিমাচলের সুখবিন্দর সিং সুখু, ছত্তিশগড়ের ভুপেশ বাঘেল, তামিলনাড়ুর এম কে স্ট্যালিন, বিহারের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এবং ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনও উপস্থিত ছিলেন। এরা সকলেই হয় কংগ্রেসের নাহয় কংগ্রেস জোটের। এরা ছাড়াও এনসিপির শরদ পওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ আবদুল্লাহ, পিডিপির (PDP) মেহেবুবা মুফতি, আরজেডির তেজস্বী যাদব, বামেদের তরফে সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি এবং সিপিআইয়ের ডি রাজা (D Raja) উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা কমল হাসানও। এছাড়া রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা তো ছিলেনই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − three =