৫ উইকেট ভুবনেশ্বরের! চাপে মনোজের বাংলা

৬ বছর পর আবার রঞ্জি ট্রফির কোনও ম্যাচ খেলতে দেখা গেল তাঁকে। কে জানত, ৫ উইকেটে সাজিয়ে রাখবেন প্রত্যাবর্তন! এটুকু তথ্যে কি তাঁর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা ব্যাখ্যা করা যাবে? দিনের শেষ বিপক্ষের ৫ উইকেট পড়েছে। যার সবই ঢুকেছে ভুবনেশ্বর কুমারের পকেটে। ৩৪ বছরের ডান হাতি পেসার যেন ত্রাস হয়ে উঠেছেন কানপুরের গ্রিন পার্কের গ্রিন টপ পিচে। ১৩ ওভার বল করেছেন ভুবি। ২৫ রান দিয়েছেন। ৩ মেডেন দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। আরও ভালো করে বললে, একই ওভারে ফিরিয়েছেন সৌরভ পাল ও সুদীপ ঘরামীকে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা অনুষ্টুপ মজুমদারের ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল ঢুকে করেছেন বোল্ড। ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠিয়েছেন ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারিকেও।

দিনের শেষ হোক আর শুরু, গ্রিন পার্ক ছিল পেসারদেরই দখলে। কুয়াশার কারণে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর শুরু হয় ম্যাচ। টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন মনোজ। ভুল যে করেননি, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন বাংলার পেসাররা। এই ম্যাচেই অভিষেক হয়েছে সুরজ সিন্ধ জয়সওয়ালের। তিনি, মহম্মদ কাইফ, ঈশান পোড়েল মিলে মাত্র ২০.৫ ওভারেই শেষ করে দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের ব্যাটিংয়ের মুড়ো-ল্যাজা। মহম্মদ সামির ভাই কাইফ নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাঁকে সামলাতেই পারেননি উত্তর প্রদেশের ব্যাটাররা। টিমের ক্যাপ্টেন নীতীশ রানাও কিছুই করতে পারেননি। কেকেআরের ভাইস ক্যাপ্টেনকে ফিরিয়েছেন ঈশান পোড়েল। সেই সঙ্গে নিয়েছেন প্রিয়ম গর্গের উইকেটও। অভিষেক ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছেন সুরজও। ৬০ রানে অল আউট হয়ে যায় উত্তর প্রদেশ। প্রথম দিনই পড়ল ১৫ উইকেট।

ঘটনা হল, অন্ধ্র প্রদেশের বিরুদ্ধে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছেন মনোজরা। উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি না জিতলে চাপ বাড়বে। সেই লক্ষ্যেই নেমেছে বাংলা। কিন্তু অল্প রানে বিপক্ষকে শেষ করে দেওয়ার পরও তা কাজে লাগাতে পারলেন না অনুষ্টপ-সুদীপরা। প্রথম দিনের শেষ বাংলা ৯৫-৫। ৩৫ রানের লিড এসেছে ঠিকই, কিন্তু মোটেও যথেষ্ট নয়। দিনের শেষ ওপেনার শ্রেয়ন্স ঘোষ ৩৭ রানে ক্রিজে আছেন। সঙ্গে আছেন করণ লাল (৮)। এই জুটিটা ভেঙে দিতে পারলে বাংলা খুব বেশি দূর এগোতে পারবে না। ম্যাচের ফয়সালা যে হচ্ছেই, সন্দেহ নেই। কিন্তু জয় কি পাবে বাংলা? ভুবনেশ্বর কুমার কিন্তু দুরন্ত ফর্মে আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × four =