৫ প্রধান মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন হবে এই বছরেই, জানাল কলকাতা মেট্রো

এবার সব প্রকল্পগুলি প্রসারিত করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে, সোমবার এমনটাই জানানো হল কলকাতা মেট্রো রেলের তরফ থেকে। কারণ, সংসদে পেশ করা এই বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে, কলকাতা মেট্রোর নির্মীয়মান প্রকল্পের জন্য ৩৩৩০.২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। যা ২০২২-২০২৩ সালের বাজেট প্রস্তাবের তুলনায় ১৬৪.৭৭ শতাংশ বেশি। মেট্রো রেলওয়ের জন্য মোট পরিকল্পনা ব্যয়ও ১৫৩.৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর এই পর্যাপ্ত অর্থ হাতে থাকায় চলতি বছরেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে এগোল কলকাতা মেট্রো।

এদিকে কলকাতায় চালু হয়েছে একের পর এক নতুন মেট্রো সংযোগ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি জোকা-তারাতলা মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন। তারও আগে চালু হয়েছে শিয়ালদহ- সেক্টর ৫ মেট্রো পরিষেবা। তার জেরে যানজট এড়িয়ে শহরের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে পৌঁছানো যাচ্ছে অনেক সহজেই। এবার শহরের মেট্রো প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।  একইসঙ্গে চলতি বছরেই মেট্রোর নতুন আরও পাঁচটি প্রকল্প চালু হবে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা মেট্রো রেলের তরফ থেকে। যার মধ্যে রয়েছে নোয়াপাড়া – বারাসাত ১৮ কিমি মেট্রো। এই রেল প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ  ৬২০ কোটি টাকা। সঙ্গে রয়েছে, এয়ারপোর্ট – নিউ গড়িয়া মেট্রো। এর জন্য বরাদ্দ ১২০০ কোটি। তৃতীয়ত, জোকা – বিবাদীবাগ মেট্রো। বরাদ্দ ১৩৫০ কোটি। এছাড়াও রেল লাইন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

এদিকে মেট্রো রেল ২০২৩ সালে নতুন মেট্রো রুট খোলার এবং চালু রুটগুলি প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছে বলেও এদিন জানানো হয়। কারণ, রাজারহাট মেট্রো প্রকল্প (অরেঞ্জ লাইন) হয়ে নিউ গড়িয়ার হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন- নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত কাজ নিরাপত্তা কমিশনার পরিদর্শন করেছেন। আশা করা হচ্ছে যে, এই প্রসারিত বাণিজ্যিক পরিষেবাগুলি শুরু করার জন্য বাধ্যতামূলক অনুমোদন খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে। অনুমোদন পাওয়ার পরে এই ৫.৪-কিমি দীর্ঘ প্রসারিত বাণিজ্যিক পরিষেবাগুলি দ্রুতই শুরু হবে। এবছরের অক্টোবরে সল্টলেক সেক্টর ২ থেকে সেক্টর ফাইভ  পর্যন্ত ৯.৮২-কিমি পর্যন্ত প্রসারিত করা হবে। একই মাসে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর-বারাসাত মেট্রো মেট্রো প্রকল্পের যা ইয়েলো লাইন বলে পরিচিত এবং নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর প্রসারিত (৭.০৪ কিলোমিটার) অংশ উদ্বোধন করা হবে।

শুধু তাই নয়, মেট্রো রেলে বাণিজ্যিক পরিষেবা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। অক্টোবরের মধ্যে এই পরিষেবাটি তারাতলা থেকে মাঝেরহাট (১.২৪ কিমি) পর্যন্ত বাড়ানো হবে। মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা জানান, এই এক্সটেনশন এবং নতুন রুটের উদ্বোধন কলকাতাবাসীদের জন্য হবে চলতি বছরের পুজোর উপহার। এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শিয়ালদা থেকে হাওড়া ময়দান (৭.২৫ কিমি) পর্যন্ত বহু প্রতীক্ষিত মেট্রো পরিষেবা বাড়ানোর লক্ষ্যও নির্ধারণ করা হয়েছে। তা হলে এদেশে নদীর তলদেশে প্রথমবারের মতো মেট্রো চলবে। আর তার ফলে শহরতলি থেকে আসা যাত্রীরা এসপ্ল্যানেড, শিয়ালদহ বা সল্টলেকের মতো জায়গায় দ্রুত এবং মসৃণভাবে পৌঁছতে পারবেন কোনও যানজটের সম্মুখীন না হয়েই।

এদিকে এখন মেট্রো চলছে ৪৭.৯৩ কিলোমিটার। সঙ্গে ৩০.৭৫ কিলোমিটার যুক্ত হতে চলেছে। ফলে, কলকাতা একটা বড় অংশই জুড়ে যাচ্ছে মেট্রোর সঙ্গে। তবে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ৫ পর্যন্ত মেট্রো চালু হয়ে গেলেও হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ এখনও অনেকটাই বাকি। এই লাইনে বারবার অঘটন ঘটছে বউবাজারে। বারবার মেট্রো লাইনের কাজের কারণে ফাটল দেখা দিচ্ছে বাড়িতে। তবে এবার বরাদ্দ বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত কাজ শেষ করা হবে বলে আশা রাখছেন কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, সারা দেশের মধ্যে কলকাতাতেই প্রথম মেট্রো চালু হয়েছিল। বর্তমানে সেই মেট্রো বিস্তার লাভ করছে শহর থেকে শহরতলিতে। আর কলকাতা মেট্রো দেশের মধ্যে এক এবং একমাত্র মেট্রো রেল, যা পুরোপুরি রেল মন্ত্রকের অধীনে।

 

এবার সব প্রকল্পগুলি প্রসারিত করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে, সোমবার এমনটাই জানানো হল কলকাতা মেট্রো রেলের তরফ থেকে। কারণ, সংসদে পেশ করা এই বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে, কলকাতা মেট্রোর নির্মীয়মান প্রকল্পের জন্য ৩৩৩০.২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। যা ২০২২-২০২৩ সালের বাজেট প্রস্তাবের তুলনায় ১৬৪.৭৭ শতাংশ বেশি। মেট্রো রেলওয়ের জন্য মোট পরিকল্পনা ব্যয়ও ১৫৩.৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর এই পর্যাপ্ত অর্থ হাতে থাকায় চলতি বছরেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে এগোল কলকাতা মেট্রো।

এদিকে কলকাতায় চালু হয়েছে একের পর এক নতুন মেট্রো সংযোগ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি জোকা-তারাতলা মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন। তারও আগে চালু হয়েছে শিয়ালদহ- সেক্টর ৫ মেট্রো পরিষেবা। তার জেরে যানজট এড়িয়ে শহরের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে পৌঁছানো যাচ্ছে অনেক সহজেই। এবার শহরের মেট্রো প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।  একইসঙ্গে চলতি বছরেই মেট্রোর নতুন আরও পাঁচটি প্রকল্প চালু হবে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা মেট্রো রেলের তরফ থেকে। যার মধ্যে রয়েছে নোয়াপাড়া – বারাসাত ১৮ কিমি মেট্রো। এই রেল প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ  ৬২০ কোটি টাকা। সঙ্গে রয়েছে, এয়ারপোর্ট – নিউ গড়িয়া মেট্রো। এর জন্য বরাদ্দ ১২০০ কোটি। তৃতীয়ত, জোকা – বিবাদীবাগ মেট্রো। বরাদ্দ ১৩৫০ কোটি। এছাড়াও রেল লাইন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

এদিকে মেট্রো রেল ২০২৩ সালে নতুন মেট্রো রুট খোলার এবং চালু রুটগুলি প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছে বলেও এদিন জানানো হয়। কারণ, রাজারহাট মেট্রো প্রকল্প (অরেঞ্জ লাইন) হয়ে নিউ গড়িয়ার হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন- নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত কাজ নিরাপত্তা কমিশনার পরিদর্শন করেছেন। আশা করা হচ্ছে যে, এই প্রসারিত বাণিজ্যিক পরিষেবাগুলি শুরু করার জন্য বাধ্যতামূলক অনুমোদন খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে। অনুমোদন পাওয়ার পরে এই ৫.৪-কিমি দীর্ঘ প্রসারিত বাণিজ্যিক পরিষেবাগুলি দ্রুতই শুরু হবে। এবছরের অক্টোবরে সল্টলেক সেক্টর ২ থেকে সেক্টর ফাইভ  পর্যন্ত ৯.৮২-কিমি পর্যন্ত প্রসারিত করা হবে। একই মাসে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর-বারাসাত মেট্রো মেট্রো প্রকল্পের যা ইয়েলো লাইন বলে পরিচিত এবং নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর প্রসারিত (৭.০৪ কিলোমিটার) অংশ উদ্বোধন করা হবে।

শুধু তাই নয়, মেট্রো রেলে বাণিজ্যিক পরিষেবা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। অক্টোবরের মধ্যে এই পরিষেবাটি তারাতলা থেকে মাঝেরহাট (১.২৪ কিমি) পর্যন্ত বাড়ানো হবে। মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা জানান, এই এক্সটেনশন এবং নতুন রুটের উদ্বোধন কলকাতাবাসীদের জন্য হবে চলতি বছরের পুজোর উপহার। এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শিয়ালদা থেকে হাওড়া ময়দান (৭.২৫ কিমি) পর্যন্ত বহু প্রতীক্ষিত মেট্রো পরিষেবা বাড়ানোর লক্ষ্যও নির্ধারণ করা হয়েছে। তা হলে এদেশে নদীর তলদেশে প্রথমবারের মতো মেট্রো চলবে। আর তার ফলে শহরতলি থেকে আসা যাত্রীরা এসপ্ল্যানেড, শিয়ালদহ বা সল্টলেকের মতো জায়গায় দ্রুত এবং মসৃণভাবে পৌঁছতে পারবেন কোনও যানজটের সম্মুখীন না হয়েই।

এদিকে এখন মেট্রো চলছে ৪৭.৯৩ কিলোমিটার। সঙ্গে ৩০.৭৫ কিলোমিটার যুক্ত হতে চলেছে। ফলে, কলকাতা একটা বড় অংশই জুড়ে যাচ্ছে মেট্রোর সঙ্গে। তবে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ৫ পর্যন্ত মেট্রো চালু হয়ে গেলেও হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ এখনও অনেকটাই বাকি। এই লাইনে বারবার অঘটন ঘটছে বউবাজারে। বারবার মেট্রো লাইনের কাজের কারণে ফাটল দেখা দিচ্ছে বাড়িতে। তবে এবার বরাদ্দ বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত কাজ শেষ করা হবে বলে আশা রাখছেন কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, সারা দেশের মধ্যে কলকাতাতেই প্রথম মেট্রো চালু হয়েছিল। বর্তমানে সেই মেট্রো বিস্তার লাভ করছে শহর থেকে শহরতলিতে। আর কলকাতা মেট্রো দেশের মধ্যে এক এবং একমাত্র মেট্রো রেল, যা পুরোপুরি রেল মন্ত্রকের অধীনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − eleven =