বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত চলছিল শীর্ষ আদালতের। শেষ পর্যন্ত শীর্ষ আদালতের সুপারিশেই কেন্দ্র সায় দিতেই সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন পাঁচজন।এই পাঁচজন হলেন পঙ্কজ মিথাল, সঞ্জয় কারোল, পিভি সঞ্জয় কুমার, এহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ ও মনোজ মিশ্র ও এহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ। পঙ্কজ মিথাল, সঞ্জয় কারোল ও পিভি সঞ্জয় কুমার দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসাবে শপথ নেন। প্রসঙ্গত, নানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে কাজ করেছেন তাঁরা। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান।
নতুন পাঁচ বিচারপতির শপথের পর বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতির সংখ্যা ৩২। সর্বোচ্চ ৩৪ জন বিচারপতি থাকতে পারেন শীর্ষ আদালতে। রাজস্থান হাই কোর্টের বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল, পাটনা হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং মণিপুর হাই কোর্টের বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের নাম সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে পাটনা হাই কোর্টের বিচারপতি এহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ ও এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি মনোজ মিশ্রের নামও শীর্ষ আদালতের বিচারপতি পদে সুপারিশ করা হয়। গত বছর ১৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রের কাছে এই পাঁচজনের নাম পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট।এরপর থেকেই বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম প্রথা নিয়ে বিবাদ শুরু হয় কেন্দ্রীয় সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু দাবি করেন, বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সরকারকেও শামিল করতে হবে। কলেজিয়াম প্রথা নিয়েও প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন তিনি। কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের যে পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তাতে আপত্তি জানিয়ে একাধিকবার সরব হতেও দেখা যায় রিজিজু-সহ বিজেপি নেতৃত্বকে। এর প্রত্যুত্তরে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়, কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ঢিলেমি করছে কেন্দ্র। বিচারবিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা হতাশাজনক। কেন্দ্রের কাজে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি বিরোধী শিবির। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশেই সায় দেয় কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতির চূড়ান্ত সিলমোহর পাওয়ার পরে সোমবার শপথ নেন ৫ বিচারপতি।