পুজোর ৫ দিন সুরাপ্রেমীদের ছক্কা, ৫ দিনে মদ বিক্রি ৩১ কোটি ৮ লক্ষ টাকার

পুজোয় উল্লাসে কোনও ‘রুল’ নেই। একটাই নিয়ম অনাবিল আনন্দ আর মজা। পুজোর দিনগুলি জমিয়ে ‘ব্যাটিং’ করল সুরাপ্রেমীরা। ষষ্ঠী থেকে দশমী শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই মদ বিক্রি হয়েছে ৩১ কোটি ৮ লক্ষ টাকার।
তারওপর পর্যটনের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। পুজোর সময় দিঘাতে ছিল মারকাটারি ভিড়। ছুটি উপভোগ করতে সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছিলেন ‘আমুদে বাঙালি’। দিঘা ছাড়াও রয়েছে শঙ্করপুর মান্দারমণির মতো পর্যটন কেন্দ্র। দশমীর দিন অনেকেই শেষবেলাটুকু সৈকতে উপভোগ করতে আগ্রহী। স্বাভাবিকভাবেই এই জায়গাগুলিতে মদ ব্যবসার একটা রমরমা ছিল বলে মনে করছেন জেলার আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা। শুধুমাত্র একটি জেলাতেই প্রায় ৩১ কোটি টাকার মদ বিক্রি হওয়ায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে আবগারি দপ্তরের ব্যবসা।
সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে শুধু ষষ্ঠীতেই মদ বিক্রি হয়েছে পাঁচ কোটি ১১ লাখ ৫ হাজার ২৫৭। এর মধ্যে দেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৬৮৬৭৪.১৬ লিটার, বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৩০৯১৯.১২ লিটার এবং বিয়ার বিক্রি হয়েছে ৪৪০৭৯.৮৮ লিটার।
সপ্তমীতে পূর্ব মেদিনীপুরে মদ বিক্রি হয়েছে ছয় কোটি ৩৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬১০। এদিন দেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৭২৭৮৬.০৪ ব্যারল লিটার, বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৩৬৩৭১.৯৯ ব্যারল লিটার।
অষ্টমীতে জেলায় মদ বিক্রি হয়েছে ছয় কোটি ৪২ লাখ ২৮ হাজার ৭৪৪ টাকার। এর মধ্যে মোট দেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৬৮৩৯৭.৯৬ ব্যারল লিটার, বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৪০৬০৮.৩১ ব্যারল লিটার এবং বিয়ার বিক্রি হয়েছে ৬৫৪৮৯.৯০ ব্যারল লিটার। এদিন মোট দোকান খোলা ছিল ২৭৯টি।
অষ্টমীর থেকে সামান্য কম ব্যবসা হয়েছে নবমীতে। এদিন দেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৬৫৯২৪.০০ ব্যারল লিটার, বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৩৯২০২.৯০ ব্যারল লিটার এবং মোট বিয়ার বিক্রি হয়েছে ৫৮৯৯৯.৩০ ব্যারল লিটার। এদিন মোট দোকান খোলা ছিল ২৮১টি।
দশমীতে মদ বিক্রি নবমীকে ছক্কা হাঁকিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়েছে দশমীর মদ বিক্রি। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে মদ বিক্রি হয়েছে ছয় কোটি ৮৪ লাখ ৬ হাজার ৭১। এর মধ্যে দেশি মদ ছিল ৭১৫৫৬.৬৫ ব্যারল লিটার, বিদেশি মদ ছিল ৪৬৪৭০.৫০ ব্যারল লিটার এবং বিয়ার ছিল ৭১৪২১.৯২ ব্যারল লিটার।
রাজ্যজুড়ে পুজোয় মদে ভালোই লাভ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুরেই ষষ্টী, সপ্তমী অষ্টমী, নবমী এবং দশমীতে মদ বিক্রি হয়েছে ৩১ কোটি ৮ লাখ টাকার। স্বাভাবিকভাবেই খুশি রাজ্যের আবগারি দপ্তরের কর্তারা। রাজস্ব আদায়ের অন্যতম জায়গা আবগারি দপ্তর। সেই জায়গায় রাজ্যের মাত্র একটি জেলা থেকেই এই বিপুল পরিমাণ মদ বিক্রি হওয়ায় রাজস্বে তার সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + six =