কলকাতা: অনলাইন গেমিং-প্রতারণা কাণ্ডে ক্রমশই ঝুলি থেকে বের হচ্ছে বেড়াল। এবার সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি অফিসে গিয়েও তল্লাশি চালাল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। বুধবার অনেক রাতে সেক্টর ফাইভের গোদরেজ ওয়াটার সাইড বিল্ডিংয়ে এই তল্লাশি চলে। উদ্ধার হয় অসংখ্য সিমকার্ড ও হার্ডডিস্ক। ওই অফিসের ম্যানজেরা প্রতীক বাজপেয়ীকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও ধরা পড়েছে প্রসেনজিৎ সরকার (৩২), রাহুল পাল (৩৭), শমিত মণ্ডল (৩৭) ও সুমা নস্কর (২৮)। সুমার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গার্ডেনরিচকাণ্ডে ধৃত ব্যবসায়ী আমির খানের সঙ্গে এই বেআইনি ব্যবসায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত। এরপরই অভি়যান চালায় কলকাতা পুলিশ। উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ হার্ড ডিস্ক, সিমকার্ড। জানা গিয়েছে, সমস্ত সিমকার্ডই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা রয়েছে। সেসবই বাজেয়াপ্ত করা হয়।উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর, শনিবার গার্ডেনরিচে শাহি আস্তাবল এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, সেখানে ৭ কোটি টাকা ছিল। অভিযোগ, অনলাইন মোবাইল গেমিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করে ব্যবসায় লক্ষ্মীলাভ হত। আমিরের খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্লাস্টিকে মোড়ানো ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটের বান্ডিল। সব টাকা সেদিনই বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর দিনকয়েক বাদেই গাজিয়াবাদ থেকে ধরা পড়ে আমির। শুরু হয় জেরা। তাতেই উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এই প্রতারণা-কাণ্ডের তদন্তে নেমে বুধবার সল্টলেকের অফিসে হানা দিতেই তদন্তকারীরা সেখানে সার্ভার রুমের হদিস পান। অফিসে কোনও লোক নেই। অথচ সার্ভার, কম্পিউটার চলছে। সব কিছুই হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। ওই অফিসের ম্যানেজার প্রতীক বাজপেয়ীকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়।এই ঘটনায় আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানকে। ফলে অনলাইম গেমিং প্রতারণা কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬।
অন্য দিকে, প্রতারণা-কাণ্ডে দুবাই যোগের সূত্র পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। দুবাই থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতারণার কারবার চালানো হত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এই কারবারে গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের পাশাপাশি শুভজিৎ শ্রীমানি নামে একজনের নাম উঠে এসেছে। তিনি দুবাইয়ে থাকেন বলেই জানা গিয়েছে।