পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ৪০০ জন পর্যবেক্ষক এবং ৩০জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নামানো হবে। এই পর্যবেক্ষক কারা হবেন তা জানতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন চিঠি দিল নবান্নকে। কার্যত চিঠিতে পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পর্যবেক্ষকদের নাম ঠিক করতে বলা হয়েছে নবান্নকে। পাশাপাশি সূত্রে এ খবরও মিলেছে, ডেপুটি সেক্রেটারি বা তার ওপরের র্যাঙ্কের পদাধিকারীদের পর্যবেক্ষক করা হবে। ব্লক পিছু একজন না দু’জন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন, তা নির্ভর করবে রাজ্য কতজনের নাম কমিশনকে পাঠাচ্ছে, তার ওপর। তবে প্রাথমিকভাবে ব্লক পিছু একজন অফিসারকেই দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে বলে খবর। বিশেষ পর্যবেক্ষকদের নিযুক্ত করার ব্যাপারেও মানা হবে এই একই পদ্ধতি।
অর্থাৎ, সামগ্রিক ভাবে দেখতে গেলে এটা স্পষ্ট যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা না হলেও ত্রিস্তরীয় এই নির্বাচন নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বরং বলা ভাল পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তাঁদের প্রস্তুতি তুঙ্গে। একদিকে এই ভোটে কোন কোন সরকারি কর্মচারির ডিউটি পড়বে তা যেমন জেলাশাসকেরা তৈরি করে ফেলেছেন অন্যদিকে আবার চলতি মাসেই তাঁদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যাচ্ছে, এমনটাই রাজ্য নির্বাচন সূত্রে খবর। এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পর্যবেক্ষক ইস্যুতে রাজ্য সরকার আলোচনা করে এনিয়ে সিদ্ধান্ত কমিশনকে জানাবে।
আপাতত যা বোঝা যাচ্ছে বা বঙ্গ রাজনীতিবিদরা যা ধারনা করছেন তাতে সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মে মাসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন সূত্রে খবর, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র, বুথ, ভোটকর্মী সংক্রান্ত প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এদিকে বুধবারই প্রকাশিত হয়েছে রাজ্যের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের খসড়া তালিকাও। তবে নজরদারি চালানোর জন্য পর্যবেক্ষকদের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে।
এদিকে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথের সংখ্যা যে বাড়তে চলেছে সেটা আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল। বুধবার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের খসড়া তালিকা বার হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে বুথের সংখ্যা অনেকতাই বেড়েছে। আর সেই কারণে এবারে গতবছরের থেকে বেশি পর্যবেক্ষক মাঠে নামামো হবে বলে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটা সম্ভব হবে রাজ্য সরকার পর্যবেক্ষক হিসাবে ঠিক কতজনকে দিতে পারে তার ওপর। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের যে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে অভিযোগ থাকলে রাজনৈতিক দলগুলি জানাতে পারবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কমিশন। মোটামুটি ৬০ হাজার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকছে এবার। কোন এলাকায়, কোন স্কুলে ক’টি বুথ হচ্ছে, সবই বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে খসড়া তালিকায়।