৪ বছরের সন্তানকে খুন ! অভিযুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সিইও

গোয়ায় গিয়ে নিজের সন্তানকে হত্যা করে ব্যাগে পুড়ে বেঙ্গালুরু ফিরলেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার মালকিন! জানা গিয়েছে, এআই ল্যাবের স্টার্টআপ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। গোয়ার একটি ফ্ল্যাটে বসে নিজের সন্তানকে খুন করেছেন ওই মহিলা। আপাতত তাঁকে আটক করে জেরা করছে পুলিশ। থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁর স্বামীকেও।

অভিযুক্তের নাম সূচনা শেঠ। মাইন্ডফুল এআই ল্যাব নামে একটি স্টার্টআপ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তিনি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পড়াশোনা করেছেন। জানা গিয়েছে, গত শনিবার দক্ষিণ গোয়ার সোল বানিয়ান গ্রান্ডে নামে একটি হোটেলে উঠেছিলেন সূচনা। সঙ্গে ছিল তাঁর চার বছরের শিশুপুত্র। কিন্তু সোমবার একাই হোটেলের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। বিমানে না চেপে একটি ট্যাক্সি ভাড়া করে কর্নাটকের দিকে যাত্রা শুরু করেন। সূচনার সঙ্গে তাঁর ছেলেকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় হোটেলের কর্মীদের। তাছাড়াও হোটেলের ঘরের মধ্যে রক্তের দাগ দেখতে পান তাঁরা। দ্রুত স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে হোটেল কর্তৃপক্ষ। ট্যাক্সিচালককে ফোন করে সূচনার বিষয়ে প্রশ্ন করে পুলিশ। কোঙ্কনি ভাষায় কথা হয় দুপক্ষে, যেন সূচনা কিছু বুঝতে না পারেন। তবে তিনি জানান, এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছে ৪ বছরের ছেলে। একটি ভুয়ো ঠিকানাও দেন সূচনা।

সন্ধান চালিয়ে দেখা যায়, সূচনার দেওয়া ঠিকানাটি ভুল। তার পরেই ট্যাক্সিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয় সূচনাকে চিত্রদুর্গ থানায় পৌঁছে দিতে। সেখানে পৌঁছতেই সূচনার ব্যাগ থেকে তাঁর সন্তানের দেহ পাওয়া যায়। কিন্তু কেন এমন নৃশংস ঘটনা ঘটালেন ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, সেই উত্তর এখনও পাননি তদন্তকারী গোয়া পুলিশ অফিসারেরা।

সূচনা শেঠ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো। ডেটা গবেষক হিসাবে তাঁর ১২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি -তে ১০০ জন বুদ্ধিমতী মহিলার মধ্যে একজন ছিলেন। বর্তমানে বেঙ্গালুরুর এক এআই ল্যাবের সিইও। তাঁর স্বামী বেঙ্কট রমনও এআই ডেভলপার। এরকম ব্যক্তি-জীবনের মধ্যে থেকে ৩৯ বছর বয়সি সুচনা কেন ছেলেকে খুন করলেন এবং কীভাবে ছেলের দেহ সঙ্গে নিয়ে একরাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে এলেন, তা ভেবে পাচ্ছে না কেউ। গোটা ঘটনায় সূচনা শেঠের মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। গোটা ঘটনার তদন্তে সূচনাকে পুনরায় গোয়া নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেখানকার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + eighteen =