হাওড়া: হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমিতির ‘আনফিট ভেসেল’-এর অভিযোগ উঠতে ও এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হতেই বুধবার সংস্থার তরফ থেকে নাজিরগঞ্জ-মেটিয়াবরুজ,বাউরিয়া-বজবজ রুটে চারটি ছোট ভেসেল বসিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। বিনা নোটিসেই এই চারটি ভেসেলকে বসানো হয়েছে। এছাড়াও বাউরিয়া-বজবজ রুটে একটি বড় ভেসেল বসিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে বাউরিয়া-বজবজ থেকে দু’টি ভেসেল জলশক্তি, দৃষ্টি বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি নাজিরগঞ্জ-মেটিয়াবরুজ রুটে তিনটি ছোট ভেসেল জলপথ, জলপরী, জলযান নামের ভেসেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও বাতিল হওয়া ভেসেলের রুটে ২ টি বড় ভেসেল পরিষেবা অব্যাহত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ যে দুটি ভেসেলকে দিয়ে পরিষেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ সেই দুটি বড় ভেসেলেরও ফিট সার্টিফিকেট ও সার্ভে হয়নি বলেই অভিযোগ। হাওড়া-আর্মেনিয়াম-ফেয়ারলি-বাবুঘাট-নাজিরগঞ্জ রুটে যে ১০টি বড় ভেসেল চালানো হচ্ছে এই মুহুর্তে , তার ৯ টি বড় ভেসেলের ফিট সার্টিফিকেট বা সার্ভে করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতেও সেই ভেসেলগুলো চালানোর অভিযোগ উঠছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির বিরুদ্ধে। আনফিট ও সার্ভে ছাড়া চালানো ভেসেলগুলো নাম যথাক্রমে রায় মঙ্গলজন উদ্যোগ, জনসেবা, ক্যারাভান, অগ্রগতি, নন্দিনী, জল জীবন, জলসাথী, মেঘমা , কংসাবতী। যার যার মধ্যে শুধু কংসবতী ভেসেলের সার্ভে ও ফিট সার্টিফিকেট রয়েছে।
এছাড়া রামকৃষ্ণপুর ঘাট-বাবুঘাট-শিবপুর ঘাটে চলাচলকারী কাঠের ভেসেলের মালিকের ব্যক্তিগত অফিস চালানোর জন্য কলকাতার বাবুঘাট নতুন জেটি লাগোয়া পোর্ট ট্রাস্টের জমিতে তৈরি করা হচ্ছে অবৈধ গুমটি তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও গাদিয়ার-বাউরিয়া রুটে চালানো হচ্ছে ডবল ইঞ্জিন ভেসেল। রাজ্য পরিবহন দফতরের দেওয়া এই ভেসেলে দৈনিক জ্বালানির খরচ ৫০-৬০ লিটার। অভিযোগ উঠেছে তেলের কমিশন থেকে অর্থ লুটের উদ্দেশ্যেই এই ভেসেলকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর তিনি বিধানসভাতে মন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করবেন।