নিজস্ব প্রতিবেদন, মালদা: যাত্রী বোঝাই টোটোতে লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল চারজন কৃষকের। আহত হয়েছেন দু’জন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম দীপেন রায় (৩৬), সুরঞ্জন বিশ্বাস (৪৫), পরান বিশ্বাস (৪৬) এই তিনজনের বাড়ি গাজোলের আহোড়া সংলগ্ন গৌরাঙ্গপুরে। অপর একজনের নাম ননিগোপাল বিশ্বাস (৫০)। তার বাড়ি আহোড়া সংলগ্ন কালিনগর এলাকায়। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আহোড়ার কমল বিশ্বাস (৫০) ও টোটো চালক সুনীল মণ্ডল (৫০)। তাঁদের বাড়িও আহোড়া এলাকায়।
মঙ্গলবার সাতসকালে মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানার আহোড়া শ্যামনগর এলাকার ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। দুর্ঘটনার পর লরি নিয়ে পালিয়ে যান চালক। এরপরই ওই এলাকার জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় গাজোল থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা নিয়ে টোটো চালক সহ মোট ৬ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে চারজনের মৃত্যুর কথা জানিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। বাকি দু’জন গুরুতর জখম হওয়ায় তাঁদের মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এদিন আহোড়ার গৌরাঙ্গপুর এলাকার চার কৃষক একটি টোটোতে ঢেঁড়শ বোঝাই করে গাজোল কিষান মান্ডি নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই টোটোর সামনে চালক সহ আরও এক যাত্রী ছিলেন। কিষান মান্ডি যাওয়ার পথে গাজোলের শ্যামনগর সংলগ্ন ৫১২ নং জাতীয় সড়কে তাঁরা ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। শিলিগুড়িগামী একটি পণ্য বোঝাই লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোটোতে সজোরে ধাক্কা মারে। সেই ধাক্কায় টোটোটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, টোটোটি যাত্রী নিয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে সঠিকভাবে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ বিকট আওয়াজের পর দেখা যায় রাস্তার ধারে টোটোটি দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছে। আর সেখানেই ওই যাত্রী সহ চালকরা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘাতক লরি ও চালকের খোঁজ শুরু করা হয়েছে।