গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ শিশুর মৃত্যু কলকাতায়

শিশু মৃত্যু মিছিল অব্যাহত কলকাতায়। বি সি রায় শিশু হাসপাতাল কিংবা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরে পা রাখলেই এমন ছবি ধরা পড়ে সোমবারেও। এদিকে বিসি রায় হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাত্রি ৮টা থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত মোট চারজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বিসি রায় হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাত্রি আটটা নাগাদ মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর বাসিন্দা মারিয়া মণ্ডলের। তার বয়স পাঁচ মাস। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে এই শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর রবিবারই রাত্রি ১১টা নাগাদ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার বাসিন্দা। এই বাচ্চাটিরও জ্বর-শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। এরপর রাত্রি ১টা নাগাদ মৃত্যু হয় আরও আরও এক শিশুর। পরে আরও এক শিশুর মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে।

অর্থাৎ, পরীসংখ্যান বলছে , জানুয়ারি মাস থেকে ১৩ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত  রাজ্যে শ্বাসকষ্টে মোট মৃত শিশুর সংখ্যা ১৪৭। তার মধ্যে কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালেই মোট ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সেই সংখ্যা ২০জন। আরজি করে মৃতের সংখ্যা ২৫ জন। চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথে ৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পিয়ারলেস হাসপাতালে সংখ্যাটা ২জন। জেলার মধ্যে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে  এ পর্যন্ত ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ২ জন শিশুর প্রাণ গিয়েছে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ২ জন মারা গিয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে জানা গিয়েছে ২ জন মারা গিয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে ২ জন শিশুর।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে আইসিএমআর নাইসেডের সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়। সেই সমীক্ষার রিপোর্টে উল্লেখ থাকে, অ্যাডিনোর প্রকোপের শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পরিসংখ্যান বলছে, অ্যাডিনোর কবলে প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে প্রথমেই বাংলা। অ্যাডিনো আক্রান্ত ৩৮ শতাংশ। তামিলনাড়ু ১৯ শতাংশ। কেরল ১৩ শতাংশ। দিল্লি ১১ শতাংশ। মহারাষ্ট্র ৫ শতাংশ। কেন্দ্রের সমীক্ষার জেরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য ভবন। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যাডিনো নিয়ে আতঙ্ক হওয়ারও কিছু নেই।  পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + five =