কত বড় স্বস্তি! ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখলে কিছুটা যেন আন্দাজ করা যায়। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে টানা আধডজন হারের পর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে নেমেছে ইস্টবেঙ্গল। সেখানে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। ভুটানে খেলা। আবহাওয়া, উচ্চতা, কৃত্রিম ঘাস। গ্রুপ এ-র প্রথম ম্যাচে কোনওরকমে হার বাঁচিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিছুটা অক্সিজেন মিলেছিল। এ দিন ছিল রাতের ম্যাচ। পরিস্থিতি আরও কঠিন। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্কার ব্রুজোর ‘প্রাক্তন’ বাংলাদেশের বসুন্ধরা ক্লাবকে ৪-০ ব্যবধানে হারাল ইস্টবেঙ্গল।
এ মরসুমেই ইস্টবেঙ্গলে সই করেছিলেন দিমিত্রিয়স ডায়মান্টাকোস। ভালো পারফর্মও করছিলেন। তবে ধারাবাহিকতা নিয়ে সমস্যা ছিল টিমের। বসুন্ধরার বিরুদ্ধে মাত্র ৩৩ সেকেন্ডেই গোল (তথ্য: ইস্টবেঙ্গল) দিমিত্রিয়সের। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচ এবং গত ম্যাচে পারো এফসির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের হার বাঁচানো গোলও করেছিলেন। অর্থাৎ টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন দিমিত্রিয়স ডায়মান্টাকোস। তবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সমর্থকদের জয়ের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি স্বস্তি দেবে আনোয়ার আলির গোল।
তরুণ এই ডিফেন্ডারকে ঘিরে মরসুমের শুরু থেকেই নানা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি চলছে। সেই টানাপোড়েন এখনও বন্ধ হয়নি। মাঠের বাইরের অস্বস্তির প্রভাব পড়ছিল তাঁর পারফরম্যান্সেও। এই ম্যাচে গোল পাওয়ায় আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়বে আনোয়ারের। দীর্ঘ ৮৩ দিন পর জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। সব মিলিয়ে টানা ৮ ম্যাচ হারের পর ভুটানে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে পারো এফসির বিরুদ্ধে ড্র করে হারের খরা কাটিয়েছিল লাল-হলুদ। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে অবশেষে জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরু থেকেই লাল-হলুদ ঝড়। দিমিত্রিয়স ও আনোয়ারের পাশাপাশি বাকি দু-গোল সৌভিক চক্রবর্তী ও নন্দ কুমারের।
চ্যালেঞ্জ লিগে গ্রুপ এ-তে শীর্ষে রয়েছে লেবাননের ক্লাব নেজমাহ এফসি। প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরাকে হারিয়েছিল তারা। মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল নেজমাহ ও পারো এফসি। দু-ম্যাচই জিতেছে নেজমাহ। গ্রুপে ইস্টবেঙ্গল ও নেজমাহ ম্যাচটি কার্যত নক আউটের নকআউট হয়ে দাঁড়াল। ইস্টবেঙ্গল যদি নেজমাহকে হারিয়ে দেয়, তা হলে কোনও অঙ্কের সামনে পড়তে হবে না। সরাসরি শীর্ষে থেকে নকআউট নিশ্চিত করবে। ড্র কিংবা হারে বাকি গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলগুলির সঙ্গে অঙ্কের লড়াই থাকবে ইস্টবেঙ্গলের।