এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সফররত ভারত। তিনটি ওয়ানডে ও জোড়া টেস্ট হবে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই লিটন দাসের বাংলাদেশ সিরিজে ২-০ এগিয়ে গিয়েছে। সাত বছর পর ফের বাংলাদেশে গিয়ে মুখ পোড়াল ভারত। ২০১৫ সালে শেষবার এমএস ধোনির ভারত ১-২ সিরিজ হেরেছিল। এবার রোহিত শর্মার ইন্ডিয়া। আগামী শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ভারত নিয়মরক্ষার ম্যাচে নামবে। আর এই ম্যাচে চোটের জন্য খেলা হচ্ছে না রোহিতের। পাশাপাশি নেই দীপক চাহার ও কুলদীপ সেন। টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় নিজেই দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এই খবর জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রোহিত জখম হন। দ্বিতীয় স্লিপে ফিল্ডিং করতে গিয়ে ঘটে যায় বিপত্তি। মহম্মদ সিরাজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ব্যাটার আনামুল হক। নীচু করে আসা ক্যাচ ফসকেই রোহিতের গুরুতর চোট লাগে। যন্ত্রণায় কাতর রক্তাক্ত রোহিত সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়েন। এরপর স্ক্যানের জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার এক হাসপাতালে। তাঁর পরিবর্তে ফিল্ডিং করেন রজত পতিদার। যদিও রোহিত ওই আহত হাত নিয়েই ম্যাচ বাঁচানোর ইনিংস খেলেছিলেন।
ম্যাচের পর দ্রাবিড় বলেন, ‘আমরা চোট-আঘাত নিয়ে লড়াই করছি। যেটা একেবারেই আদর্শ নয়। কুলদীপ, দীপক এবং রোহিত নিশ্চিত ভাবে পরের ম্যাচ খেলবে না। রোহিত মুম্বই উড়ে যাচ্ছে। ও বিশেষজ্ঞকে চোট দেখাবে। ও টেস্ট সিরিজের আগে বাংলাদেশে ফেরার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। এত তাড়াতাড়ি বলা সম্ভব নয়। রোহিতকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। ওর হাতের হাড় সরে গিয়েছে। ওটা সেট করতে হবে। ও একাধিক ইঞ্জেকশন নিয়েই মাঠে নেমেছিল। ওকে সাধুবাদ দেব। ও একটি সুযোগ নিয়ে মাঠে নেমে সব বদলে দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর ছিল। ম্যাচটা প্রায় জিতেই দিয়েছিল। ‘হাতের চোটের জন্য় নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন রোহিত। ২৮ বলে তিনি অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে জেতানোর মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। তবে রোহিত পাশে পাননি কাউকেই। বাংলাদেশের ২৭১-এর জবাবে ২৬৬ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস।