নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: তৃণমূলে যোগদান করেই এলাকার মানুষকে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে ‘এক ফোনে এমএলকে বলুন’ নামে তিনটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন কোতুলপুরের বিধায়ক। তোলা আদায়ের জন্য এই হেল্পলাইন নম্বর বলে কটাক্ষ বিজেপির।
সবেমাত্র এক সপ্তাহ হয়েছে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। এর মধ্যেই তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার দেবাংশু ভট্টাচার্য, বীরবাহা হাঁসদা, জোৎস্না মান্ডির উপস্থিতিতে তিনটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন কোতুলপুর বিধানসভার লোকজনের জন্য।
কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার তৃণমূলে যোগদান করে বলেছিলেন, বিজেপিতে থেকে তিনি উন্নয়ন করতে পারছেন না, মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না, তাই তিনি মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য এবং উন্নয়ন করার জন্য তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাঁর বক্তব্য বাস্তবায়নের জন্য শুক্রবার কোতুলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি বিজয়া সম্মেলনে এলাকার মানুষের জন্য তিনটি হেল্পলইন নম্বর চালু করলেন বিধায়ক।
বিধায়ক হরকালী প্রতিহারের দাবি, ‘মানুষ আমাদের জিতিয়েছে সেবা পাওয়ার জন্য। জেতার পর থেকে সেভাবে মানুষকে সেবা করতে পারছিলাম না। বিজেপি এমপি, এমএলএদের নির্দেশে ১০০ দিনের টাকা এবং আবাস যোজনা টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। যে মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে জিতিয়েছে, তাদের সমস্যার কথা শোনার জন্য এক ফোনে এমএলএ হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।’
বিধায়কের এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করাকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস দাবি করেন, যাঁরা দুর্নীতি করবেন তাঁদের সমস্যা সমাধান করার জন্য বিধায়ক এই নম্বর চালু করেছেন। বিধায়ককে কটাক্ষ করে জানান, তিনি নতুন দলে যোগদান করেছেন কোথায় কোথায় কাটমানি, সেই খোঁজটা তিনি জানেন না। যার জন্য এই নম্বরগুলি দিয়েছেন যে কোথা থেকে কাটমানিগুলি আসবে বিধায়ককে আগে জানান যাতে বিধায়ক আর না লাগতে পারে।