পুরশুড়ায় গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ গ্রেপ্তার ৩ বিজেপি নেতা

আরামবাগ: তৃণমূল করার অপরাধে এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে জমিতে ফেলে ব্যাপক মারধরের পাশাপাশি শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
পরে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। অভিযুক্তরা সকলেই বিজেপির স্থানীয় নেতা ও কর্মী বলেই দাবি নিগৃহীতা ও তার পরিবারের লোকজনের। এই ঘটনায় তিন জন বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার পুরশুড়া থানার পুলিশ তাদের আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলে।

জানা গেছে, ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার জেরে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। আর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত তিন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তারও করে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ মহকুমার পুরশুড়ার চিলাডিঙ্গি এলাকার। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তৃণমূল চক্রান্ত করে ফাঁসাচ্ছে। ছোট ছোট ছেলেদের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। আর সেখানে কিভাবে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে বিষয়টি ঘুরিয়ে দিয়ে বিজেপির কর্মীদের ভোটের আগে ফাঁসিয়ে দিল তৃণমূল।

পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম শুভজিত মালিক, প্রসেনজিৎ মালিক ও হরেকৃষ্ণ মালিক। এদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে পরিবার ও থানা সূত্রে। নিগৃহীতা গৃহবধূ বলেন, আমরা তৃণমূল করি। আর ওরা বিজেপি করে। ওখানে আমরাই একা তৃণমূল করি। তাই এই রাগে ওরা প্রায়শই এই ভাবে অত্যাচার করে। বৃহস্পতিবার শুভজিত মালিক, প্রসেনজিৎ মালিক ও হরেকৃষ্ণ মালিক সহ একাধিক জন এসে আমার ছেলেকে বলছে জয় শ্রী রাম বল। আমি গিয়ে প্রতিবাদ করি। আর তাতেই ওরা আমার ছেলেকে তো মারলই।তার পাশাপাশি আমাকেও অকথ্য ভাবে অত্যাচার করল। কাপড়, পোশাক ছিঁড়ে দিল। সামনেই বাদাম জমি। সেখানে ফেলে আমাকে অত্যাচার করে ওরা। আমি ওদের শাস্তি চাই। গৃহবধূর স্বামীও একই ভাবেই অভিযোগ করেন। বিষয়টি থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে পুরশুড়া থানার পুলিশ গভীর রাতে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এই বিষয়ে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, পুরশুড়ার চিলাডাঙ্গি এলাকার আমাদের তৃণমূল কর্মীর উপর অত্যাচার হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন উচিত যথাযথ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার।

অপরদিকে বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ভোটের আগে শুধু পুরশুড়া নয়, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা জুড়ে ৫৫-৫৬ জন বিজেপি নেতা কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে। এই ভাবে মিথ্যা কেস দিয়ে বিজেপিকে দমানো যাবে না। তৃণমূল গণতান্ত্রিক ভাবে পারছে না তাই পুলিশকে সামনে রেখে এই সব করছে। জনগণ বিজেপির সঙ্গে আছে। ভোট বাক্সে তার জবাব পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + 19 =