প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের জালে ৩

ছিনতাইয়ের ঘটনায় তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়ল তিন দুষ্কৃতী। ঘটনার সূত্রপাত গত ৫ জুন। এদিন ভোর সাড়ে চারটের নাগাদ তারাতলা এলাকার পর্ণশ্রীর বিশালাক্ষীতলার বাসিন্দা প্রাতঃভ্রমণে বের হন বছর আটচল্লিশের গীতা সিং। স্থানীয় জেস্টন গাল্লি বাই লেনে এই প্রাতঃভ্রমণের সময় একটি সাদা জাইলো গাড়িতে এসে তাঁর উপর চড়াও হয় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। এরপরই গীতাদেবীর প্রায় ৫-৬ গ্রামের সোনার তৈরি কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে ওই গাড়িতে করেই পালায় ওই ব্যক্তি। এরপরই সমগ্র ঘটনা জানিয়ে তারাতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গীতাদেবী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে তারাতলা থানার পুলিশ। এরপরই ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হয় ওই গাড়িটি এবং দুষ্কৃতীকেও। ওই ফুটেজ থেকেই পাওয়া যায় ওই সাদা জাইলো গাড়িটির নম্বরও ( ডব্লুউবি ০৬সি-২৩৬৮)।
এই গাড়ির সূত্র ধরে স্থানীয় এলাকায় চলে ব্যাপক তল্লাশি। ঘটনা জানানো হয় আশপাশের থানাতেও। এরপরই পুলিশের সামনে আসে এই ঘটনায় জড়িতে বিষ্ণপুরের বাসিন্দা বছর তেত্রিশের শাহিদ শেখ এবং তার সঙ্গী ইসমাইল শেখ ওরফে খোকন ওরফে খোঁড়া জামাই এবং আবদুল কালাম মণ্ডলের নাম।
এরপরই তারাতলা থানার একটি টিম এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে মেদিনীপুরের নানা জায়াগায় অভিযান চালান। এরপরই গত ১৭ জুন মেদিনীপুরের মরিশদার খড়িপুকুরিয়ার এক কাঠকল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বছর ৪৬-এর ইসমাইল শেখ ওরফে খোকনকে। তার কাছ থেকে ওই একজোড়া কানের দুলের একটির হদিশও পায় পুলিশ। এরপর গত ১৯ জুন বিষ্ণুপুরের চণ্ডী ষষ্ঠীতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এই ঘটনায় জড়িত শাহিদ শেখকেও। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় ছিনতাইয়ের সময় ব্যবহৃত সাদা জাইলো গাড়িটিও।
এদিকে এই ঘটনায় জড়িত তৃতীয় ব্যক্তির আবদুল কালাম মণ্ডলের খোঁজে বসিরহাটেও চালানো হয় অভিযান। অবশেষে গত ২৩ জুন বসিরহাটের মতিয়ার বেগমপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আবদুল কালাম মণ্ডলকে। তার কাছ থেকে মেলে ছিনতাই হওয়া কানের দুলের অপরটিও। এরপর ধৃত তিনজনকে আদালতে পেশ করে পুলিশি হেপাজতের আর্জি জানানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 9 =