কলকাতা: বুধবার শুরু হচ্ছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগে সম্মেলনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মেলনে আগত শিল্পপতিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের জন্য তোড়জোড় চলছে জোরকদমে। বছর দুই পর কলকাতায় আয়োজিত হচ্ছে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। বিশ্ব বাংলা শিল্প সম্মেলনকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। সম্মেলনকে আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না সরকার।
শিল্প সম্মেলনের জন্য বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে ৩ হাজার ৬০০ আসন রয়েছে। সম্মেলনের জন্য বসানো হয়েছে ২৮০০ টনের এসি। নবান্ন সূত্রে খবর, দেশের তাবড় উদ্যোগপতিরা থাকবেন এই শিল্প সম্মেলনে। জানা গিয়েছে মুকেশ অম্বানি, গৌতম আদানি, সজ্জন জিন্দালের মত বিশিষ্ট শিল্পপতিরা উপস্থিত থাকবেন বুধবার।
করোনা অতিমারীর জন্য দু’বছর পর বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে। তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। একাধিকবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, রাজ্যে শিল্প আনাটাই তাঁর লক্ষ্য। ফলে এই বছরের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, মোট ১৪টি দেশের উদ্যোগপতিরা অংশগ্রহণ করবেন বুধবারের এই শিল্প সম্মেলনে। বাণিজ্য সম্মেলনে দেশ বিদেশ থেকে যে সব উদ্যোগপতিরা যোগ দেবেনে, তাঁরা ইতিমধ্যেই কলকাতায় আসতে শুরু করে দিয়েছেন। মিলন মেলায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পপতি, দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং বণিকসভার প্রতিনিধিদের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই চমক দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এই অনুষ্ঠানে গুরুত্ব দেওয়া হবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-কে।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও রাজ্যের উন্নয়নসূচককে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামনে আনছে রাজ্য। তাজপুর সমুদ্র বন্দর ও দেউচা পাঁচামির কথা রাজ্য বিশ্বের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরতে চায়। বাণিজ্য সম্মেলনের শুরুর দিন মুখ্যমন্ত্রী নারী সশক্তিকরণ বোঝাতে কয়েকজন মহিলার হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা প্রতীকি তুলে দেবেন। এ পর্যায়ে এই প্রকল্পে ২৩ লক্ষ মহিলাকে দিতে খরচ হবে ২৪০ কোটি টাকা।
নবান্ন সূত্রে খবর, রমজান মাস চলায় শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় নজরদারিতে জেলার মন্ত্রীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজের এলাকায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্দিষ্ট কয়েকজনকে থাকতে বলা হয়েছে।গত নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে বিজিবিএসে তাঁকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন সেই বৈঠকের পর। তবে, প্রধানমন্ত্রীর আসার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র বা রাজ্যের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত না এলে, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রতিনিধি শিল্প সম্মেলনে থাকবেন কি না সেটাও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।