উত্তরপ্রদেশে শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর থেকে। তবে এই শৈত্য প্রবাহ যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে তা বোধহয় অনেকে ভাবতেও পারেননি। উত্তরপ্রদেশ প্রশসাসন সূত্রে খবর, কানপুরে শৈত্যপ্রবাহে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। বেশিরভাগ মানুষেরই হৃদরোগে এবং ব্রেন স্ট্রোকে মারা গিয়েছেন। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, এই ২৫ জনের মধ্যে ১৭ জনের কোনও চিকিৎসার আগেই মৃত্যু হয়। ডাক্তারদের মতে, প্রবল ঠান্ডায় আচমকা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়াতেই এরকম ঘটনা ঘটেছে। ঠান্ডায় রক্ত জমে যাওয়ায় চিকিৎসার কোনও সুযোগই থাকে না। এই প্রসঙ্গে কার্ডিওলজি ইনস্টিটিউটের কন্ট্রোল রুম সূত্রে এও জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ৭২৩ জন হার্টের রোগী জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন।
এদিকে শুধু কানপুর নয়, গোটা উত্তর ভারত জুড়েই এখন প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তার মধ্যে কাঁপিয়ে দিচ্ছে দিল্লি। রাজনীতির উত্তাপ রাজধানীতে যতই চড়ে থাকুক, প্রকৃতির পারদে প্রায় বরফ জমার মতো অবস্থা।শুক্রবার পারদ নেমে একেবারে ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসে পৌঁছায়। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির আয়ানগরে সকাল সাড়ে ৫টায় তাপমাত্রা ছিল ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সফদরজঙ্গ এলাকায় ছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম।এই কারণে দিল্লি সরকারেরর তরফ থেকে দিল্লিতে শীতকালে গৃহহীনদের জন্য ১৯৭টি স্থায়ী ছাউনি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও ২৫০টির মতো অস্থায়ী তাঁবু তৈরি করা হয়েছে পথবাসীদের জন্য।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, রাজধানী ছাড়াও গোটা উত্তর ভারত এখন ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা।প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলছে উত্তরের প্রায় সবকটি রাজ্যে। আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস আগামী তিনদিন এই পরিস্থিতি চলবে উত্তর ভারত জুড়ে।অতি ঘন কুয়াশা ছাড়াও প্রবল শৈত্যপ্রবাহে হাড়কাঁপুনি ঠান্ডা চলতে থাকবে। এর মধ্যে আবার উত্তরাখণ্ড, দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং উত্তর-মধ্য মহারাষ্ট্র এবং মারাঠাওয়াড়ায় ২ থেকে ৩ দিন হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানানো হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে। এদিকে কুয়াশার কারণে উত্তর ভারতের প্রায় সব ট্রেনই দেরিতে চলছে।