ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা কি এ বার চাপে? সৌদি ফুটবল কি গ্রাস করে ফেলবে ফুটবল বিশ্ব? যে দিকে গড়াচ্ছে পরিস্থিতি, বললে ভুল হবে না। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, নেইমারের পর এ বার মহামেদ সালাহর দিকে হাত বাড়াচ্ছে সৌদি লিগের নামী টিম আল ইত্তিহাদ। লিভারপুলের তারকাকে আগেই অফার করা হয়েছিল। তাতেও রাজি না হওয়ায় এ বার অর্থের পাহাড় তৈরি রাখছে ক্লাব প্রশাসন। মিশরের তারকা ফুটবলার কি রোনাল্ডো, নেইমারের পথে হাঁটবেন? এমনিতে এই মরসুমে ইউরোপের একের পর এক নামী ফুটবলার সৌদি লিগে নাম লিখিয়েছেন। বিশুদ্ধবাদীরা যতই এ নিয়ে প্রতিবাদ করুক, ফুটবলাররা যে বিপুল অর্থের হাতছানি উপেক্ষা করতে পারছেন না, তা বেশ বোঝাই যাচ্ছে। লিওনেল মেসিকেও সৌদি লিগে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ইউরোপ ছেড়ে আমেরিকায় পা বাড়িয়েছেন। মেসি না এলেও তারকাদের ঢল থামছে না। খবর অনুযায়ী ২৭০ মিলিয়ন ডলার অফার করা হয়েছে। ভারতীয় টাকায় যা প্রায় ২ হাজার ২৪৬ কোটি। আল ইত্তিহাদের অফারের পরিমাণ দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। রোনাল্ডোকে রিয়াধের ক্লাব আল নাসের দিয়েছিল ১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকার মতো। সিআর সেভেনের থেকেও ৫০০ কোটি বেশি দিতে রাজি ইত্তিহাদ। সৌদির ক্লাবের কর্তারা ইংল্যান্ড যাচ্ছেন মিশরের তারকাকে সই করানোর জন্য। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে অচিরেই তাঁকে সই করিয়ে নেওয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে ২.৪৫ মিলিয়ন ইউরো মাইনে তাঁর জন্য থাকছে। ৫৫ হাজার ইউরো বোনাস এবং ক্লাবের মুখ হবেন তিনি। তিনটে নামী সৌদি সংস্থারও মুখ হিসেবে দেখা যাবে। ২০১৭ সালে লিভারপুলে যোগ দিয়েছিলেন সালাহ। তার পর থেকে ৩০৯ ম্যাচে ১৮৮ গোল করেছেন। লিভারপুলের গোলমেশিনকে তুলতে পারলে সৌদি লিগ আরও জনপ্রিয়তা পাবে। ইউরোপের ফুটবলকেও কড়া প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দেওয়া যাবে। গত মাসে অবশ্য লিভারপুলের কোচ যুর্গেন ক্লপ বলেছিলেন, সালাহকে তাঁরা বিক্রি করবেন না। পরিস্থিতি কি ঘুরে যেতে পারে?