দেশে ফের বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। আর সেই কারণেই আগামী ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দেশজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিডে এমার্জেন্সি পরিস্থিতি সামাল দিতে মক ড্রিল বা মহড়া করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।কারণ, স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০১ জন। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কিছুটা বেড়েছে সংক্রমণের সংখ্যা। শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জারি করা বুলেটিনে এই সংখ্যান ছিল ১৬৩। এদিকে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৯৭ জন। যা মোট আক্রান্তের সংখ্যা ০.০১ শতাংশ। তবে স্বাস্থির কথা একটাই বর্তমানে দেশে সুস্থতার পরিসংখ্যান ৯৮.৮ শতাংশ। যা কিছুটা হলেও আশা জাগাচ্ছে। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮৩ জন। এই মুহূর্তে দেশে দৈনিক পজিটিভিটি রেট ০.১৫ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ০.১৪ শতাংশ।
বর্ষশেষে উৎসবের মরশুমে কোভিডের এই নতুন সাব ভ্যারিয়্যান্ট বিএফ-৭ এর বাড়বাড়ন্ত দেখা যাবে কি না তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য ইতিমধ্যেই সব রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যগুলিকে অ্যালার্ট থাকতে বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কোভিড মোকাবিলায় ‘টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট-ভ্যাকসিন’ নীতি নিয়ে চলতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। উৎসবের মরশুমে কোভিডের করোনার ঢেউ রুখতে মাস্ক পরা, দূরত্ব বিধি বজায় রাখার মতো বিষয়গুলিতে রাজ্যগুলিকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এরই পাশাপাশি রাজ্যগুলিতে পর্যাপ্ত চিকৎসা পরিকাঠামো রাখার বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, কোভিড মোকাবিলায় এবার হাসপাতালে ড্রাই রান করার উপরে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিটি রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কী পরিস্থিতিতে রয়েছে, কোভিড চিকিৎসার ওষুধ-অক্সিজেনের যোগান কেমন রয়েছে তা দেখতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিস্থিতি সামালে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন কিনা তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। রাজ্যগুলিকে প্রস্তুতি যাচাই করতে হাসপাতালে ড্রাই রান চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিকে চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং হংকং থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি আন্তর্জাতিক বিমান অবতরণের পরই দু’শতাংশ যাত্রীদের চিহ্নিত করা হবে। তাঁদের প্রত্যেকের কোভিড পরীক্ষা করা হবে বিমানবন্দরেই। ২৪ ডিসেম্বর অর্থাৎ শনিবার থেকেই এই নয়া বিধি লাগু হচ্ছে দমদম বিমানবন্দরে।