ব্যারাকপুর :নোয়াপাড়া থানার ২১ নম্বর রেলগেট সন্নিহিত জনবহুল ইছাপুর মায়াপল্লিতে ব্যবসায়ী রবিন দাসেক শুট আউটের ঘটনায় পুলিশের জালে নাবালক-সহ দু’জন। ঘটনার তদন্তে নেমে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে এক নাবালক-সহ আকাশ ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনায় জড়িত কোতয়ালি থানার আরেক বাসিন্দা পলাতক। গুলি কাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি পুলিশ উদ্ধার করেছে। শনিবার বিকেলে নোয়াপাড়া থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি নর্থ শ্রীহরি পান্ডে বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে নাবালক-সহ দু’জনকে ধরা হয়েছে। খুব শীঘ্রই আরেকজনও ধরা পড়বে।’ ডিসি নর্থ আরও জানান, তদন্তে জানা গিয়েছে পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্ত ওই দু’জনকে মায়াপল্লিতে এনেছিল। ঘটনায় স্থানীয়ভাবে কারও যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ বলতে নারাজ।
ডিসি নর্থ শ্রীহরি পাণ্ডের কথায়, রবিন দাস এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উনি সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ রেলগেট সন্নিহিত ইছাপুর মায়াপল্লিতে ফুলের দোকানে দাঁড়িয়েছিলেন ইমারত ব্যবসায়ী রবিন দাস। আচমকা তিন জন হেঁটে এসে রবিনকে লক্ষ্য করে পরপর তিন রাউন্ড গুলি চালিয়ে রেলগেট টপকে পালিয়ে যায়। সূত্র বলছে, গুলি কাণ্ডের দু’দিন আগে অভিযুক্তরা ইছাপুর পশ্চিম বিধানপল্লিতে চিকিৎসক বিমলকান্তি সেনের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়েছিল। বিমলবাবুকে জানানো হয়েছিল, ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে লোডিং-আন লোডিংয়ের কাজ করবেন। এখানে থাকতে হবে বলে ঘরভাড়া দরকার। বাড়ির মালিক বিমলকান্তি সেন বলেন, ‘প্রতিবেশী রানা মণ্ডল ঘরভাড়া ঠিক করে দিয়েছিলেন। একজনের কাছ থেকে আধার কার্ড নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম তিন জনের আধার কার্ড পেলে ভাড়ার এগ্রিমেন্ট করে এক কপি থানায় জমা দেব। কিন্তু তার আগেই এই ঘটনা ঘটে গেল।’ চিকিৎসক বিমলকান্তি সেনের পড়শি কাকুলি হালদার বলেন, ‘রিকশা করে একজনকেই মালপত্র নিয়ে আসতে দেখেছি। বহিরাগতদের ভাড়া দেওয়া ঠিক হয়নি। উচিত ছিল নথিপত্র নিয়ে থানায় জমা দিয়ে তারপর ভাড়া দেওয়া।’ প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধেয় পুলিশ ধৃতদের নিয়ে ইছাপুর পশ্চিম বিধানপল্লিতে ওই চিকিৎসকের বাড়িতে আসে। আর ভাড়া নেওয়া সেই ঘর থেকেই পুলিশ গুলি কাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করেছে।