ডিভিসির জল ছাড়ার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ২ জেলার

নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে কাঠের অস্থায়ী সেতু। বন্ধ নৌ পারাপার। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দামোদর নদ সংলগ্ন বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে আসানসোল-বার্নপুর শিল্পাঞ্চলবাসীদের মধ্যে।
লাগাতার বৃষ্টির কারণে ডিভিসির একাধিক জলাধারে জলস্তর বাড়তে থাকায় জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এই জল ছাড়ার জেরে দামোদর নদে জলস্তর বৃদ্ধি হয়েছে। বার্নপুর থেকে দামোদর সংলগ্ন বাঁকুড়ার এলাকায় পারাপারের জন্য ঈশ্বরডা ও কুকরাকুড়ি নদীঘাট আপাতত বন্ধ। সচরাচর নদের জলস্তর কম থাকলে বাঁশ বা কাঠের সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন দুই জেলার বাসিন্দারা। অন্যান্য বছর নদের জলস্তর বেড়ে গেলে চালু হয় নৌ পরিষেবা। কিন্তু অকাল বর্ষণে হঠাৎ করে দুই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।
বাঁশের সেতু জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ার পর নৌকা পরিষেবা চালু হলেও মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে সেই পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। এই দু’টি ঘাটের বাঁশ ও কাঠের সেতু দিয়ে রুজি রুটির টানে বাঁকুড়ার মাজিট বামুনতোর বিহারীনাথ শালতোড়া সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা আসানসোল বার্নপুর শিল্পাঞ্চলে আসেন, তেমনই শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা বাঁকুড়ায় যাতায়াত করেন। দামোদর সংলগ্ন বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে কাঁচা সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস শিল্পাঞ্চলে নিয়ে আসেন ওই অঞ্চলের সবজি চাষিরা।
অপরদিকে বাঁকুড়ার নদী সংলগ্ন এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থায় কাজ করার জন্য শিল্পাঞ্চলের বহু বাসিন্দা নৌকা বা সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন। এই সংযোগকারী সেতু দুই জেলার দূরত্ব বেশ কয়েক কিলোমিটার কম করে। বর্তমানে এই পরিষেবা বন্ধ থাকায় ঘুরপথে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার বেশি রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এই দুই জেলার নদীর নিকটবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।
উল্লেখ্য, পুজোর মরশুমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে এই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় স্বভাবতই অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন দুই জেলার বাসিন্দারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − eight =