ফের শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজ্যে দুই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হল দক্ষিণ দমদমে। সূত্রে খবর, দমদম মতিঝিলের বাসিন্দা বছর ষোলোর মধু সিংয়ের মৃত্যু হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিনড্রোমের উল্লেখ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে কিশোরীর মৃত্যু বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
অন্যদিকে দক্ষিণ দমদমের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে এলাকারই এক নার্সিংহোমে। তিনিও ডেঙ্গি পজিটিভ ছিলেন। অস্থায়ী ওই পুলিশ কর্মীর নাম প্রীতম ভৌমিক। শুক্রবার সন্ধ্যায় নাগেরবাজার সংলগ্ন এক নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। শনিবার ভোর ৩টে ৪৬ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ হিসাবে মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রে খবর, অগাস্টের মাঝামাঝি অবধিই প্রায় ২০০ জন দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। সঙ্গে ঘরে ঘরে জ্বর, গায়ে হাত পায়ে ব্যথা। সাধারণ ফ্লুয়ের মতোই উপসর্গ। এরপর হঠাৎ করেই বাড়াবাড়ি হচ্ছে অবস্থা।
এদিকে অন্যান্য বছরের মতোই বর্ষায় দাপট বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। এ বছরও সেই ছবিতে কোনও বদল আসেনি। অন্যান্য বছর কলকাতায় ডেঙ্গির দাপট বেশি দেখা গেলেও এবার শহরের উপকণ্ঠে খুব বেশি মাত্রায় দেখা দিয়েছে এই ডেঙ্গির দাপট। গ্রামগঞ্জেও ছবিটা প্রায় একইরকম। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে দ্রুত গতিতে নামছে রোগীর প্লেটলেট। ফলে কোভিড পরবর্তী সময়ে এখন প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে এই ডেঙ্গি।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর পর তিন বছর ডেঙ্গির ডেং-৩ স্ট্রেনে কাবু হচ্ছে বাংলা। সেরোটাইপ সমীক্ষা বলছে, ২০২১ সালে ৭২ শতাংশ, ২০২২ সালে ৫৩ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ৭৫ শতাংশ এই স্ট্রেনে আক্রান্ত। এ বছর প্রথম থেকেই দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে।