কর্মরত অবস্থায় ওপর থেকে পড়ে দু’টি ঘটনায় মৃত্যু ২ নির্মাণকর্মীর

ব্যারাকপুর: কর্মরত অবস্থায় বহুতল থেকে নীচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক নির্মাণ কর্মীর। শনিবার বিকেলে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুর আনন্দপুরী এলাকায়। মৃতের নাম আতাবুল ( ২৬)। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদে। অন্য দিকে, শুক্রবারও নির্মীয়মাণ বাড়ির সানসেড ভাঙতে গিয়ে ওপর থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হয় নির্মাণকর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে হালিশহর জেটিয়া থানার নান্না এলাকায়। মৃত শ্রমিকের নাম বালি ভকত ( ২৪)। মৃতের বাড়ি নৈহাটি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্যাটারসন রোডে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আতাবুল কাজ করার সময় মাথা ঘুরে চার তলা থেকে নীচে পড়ে যান। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু ওই হাসপাতাল থেকে বের করার আগেই তাঁর মৃত্যু হয় ।
অন্য দিকে, হালিশহরে নির্মীয়মাণ সানশেডের কাঠ খুলতে গিয়ে নীচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় এক নির্মাণকর্মীর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ দিন ধরে জেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নান্না এলাকায় একটি বাড়িতে একজন ঠিকাদারের অধীনে রাজমিস্ত্রির হেল্পারের কাজ করেছিলেন বালি। শুক্রবার বিকেলে একতলার সানশেডের ওপর দাঁড়িয়ে কাঠ খুলছিলেন। সেইসময় সানশেড ভেঙে সটান নিচে পড়ে যায় ওই নির্মাণকর্মী। আর সানশেড ভেঙে তাঁর দেহের ওপর পড়ে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে চিকিৎসার জন্য নান্না প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। ওইদিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বালির মৃত্যু হয়।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ঠিকাদার হাসপাতালে ভর্তি করার বাড়িতে ফোন করে ঘটনাটি জানায়। তারপর থেকে ঠিকাদার কোনও যোগাযোগ করেনি মৃতের পরিবারের সঙ্গে। এমনকী মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতেও নারাজ নৈহাটির উত্তর প্রসাদ নগর খেলার মাঠ এলাকার বাসিন্দা ওই ঠিকাদার। মৃতের বউদি রীনা ভকত জানান, ঠিকাদারের অধীনে কর্মরত অবস্থায় দেওরের মৃত্যু হয়েছে। দেওয়ের স্ত্রী ও তিন বছরের কন্যাসন্তান বর্তমান। কিন্তু এখন ওই ঠিকাদার দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। যদিও ক্ষতিপূরণদের দাবিতে অনড় মৃতের পরিবার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × three =