প্রতারকদের খপ্পরে খোদ এক সিবিআই সিবিআই-এর এক কনস্টেবলও। অভিযোগ, ওই সিবিআই কনস্টেবলের থেকে প্রায় ২৩ হাজার টাকার কাছাকাছি হাতিয়ে নিয়েছিল প্রতারকদের দল। এরপরই উত্তর বিধাননগর থানায় এক লিখিত অভিযোগও জানান তিনি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নৈহাটি থানা এলাকায় হানা দেয় উত্তর বিধাননগর থানার পুলিশ।
এরপর নৈহাটি থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশাল চৌধুরী ও সানি পাসওয়ানকে। বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, এই দুজনকে গ্রেফতারের পর চক্রের খোঁজ পেতে চলছে দফায় দফায় জেরা।
বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, অনলাইন প্রতারণার কারবারের বিভিন্ন খবর মাঝে মধ্যেই প্রকাশ্যে আসে। লোক ঠকানোর কারবারের ফাঁদ পেতে বসে থাকে প্রতারকদের দল। কেউ সেই ফাঁদে পা দিলেই সর্বনাশ। সর্বস্ব লুঠে নেয় প্রতারকরা। এক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর,
ঘটনার সূত্রপাত ২৫ অগাস্ট। সিবিআই-এর ওই কনস্টেবল সম্প্রতি অ্যাপ ক্যাব বুক করে যাত্রা করেছিলেন। সেই সময় তাঁর থেকে মাত্রাতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি। তখনকার মতো সেই টাকা মিটিয়ে দিলেও, পরে ওই অভিযোগ জানানোর জন্য অনলাইনে ওই অ্যাপ ক্যাব সংস্থার টোল ফ্রি নম্বর খুঁজছিলেন সিবিআই-এর ওই কনস্টেবল। টোল ফ্রি নম্বর খুঁজতে খুঁজতেই একটি নম্বরে ফোন করেন তিনি। সেই নম্বরের ওপারে বসে ছিল প্রতারকরা। আর তাতেই ওই সিবিআই কনস্টেবলের অ্যাকাউন্ট থেকে ২২ হাজারপ ৯৮০ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। বিষয়টি নিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর বিধাননগর থানায় অভিযোগ জানান তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে নৈহাটি থানার পুলিশ। বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, সানি পাসওয়ানের ব্যাঙ্কের পাসবুকে আর্থিক ট্রানজাকশনে এই সিবিআই কর্মী যে টাকার কথা বলছেন তার হিসেব পাওয়া গিয়েছে।