২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওডিআই-এ ১১৩ রান করেছিলেন কোহলি। কাকতালীয় হলেও, ঠিক এক মাস বাদেই অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি ফের সেঞ্চুরি হাঁকালেন কোহলি। এ বারও করলেন ১১৩ রান। তবে টিমটা আলাদা। এ বার তিনি ১১৩ হাঁকালেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এ বার ৮৭ বলে ১১৩ করলেন কোহলি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে করেছিলেন ৯১ বলে। এইটুকুই যা পার্থক্য।
তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কোহলির ১১৩ রানের ইনিংস হত না, যদি না তাঁর দু’টো ক্যাচ মিস করত শানাকার টিম। তাঁর ক্যাচ মিস করার ফল লঙ্কানরা হাতেনাতেই পেয়েছেন। কোহলির রান যখন ৫২, তখন প্রথম ক্যাচ পড়ে তাঁর। আরও এক বার যখন ৮১ রানে ব্যাট করছিলেন, তখন তাঁর ক্যাচ পড়ে। তার ৪৫তম ওডিআই সেঞ্চুরি পেতে ভাগ্য সহায় হয়েছিল, এ কথা মেনে নেন কোহলি। এর জন্য তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কোহলি তাই পরিষ্কার বলেছেন, ‘ভাগ্যিস ক্যাচ দু’টো পড়েছিল। আমি চাইব, এ রকম ক্যাচ আরও পড়ুক। এ রকম ইনিংস খেলতে হলে ভাগ্যের সাহায্য একটু প্রয়োজন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’
সেঞ্চুরি করার পর কোহলি বলেন, তিনি নাকি এই সিরিজের আগে যে বিশ্রাম পেয়েছেন, সেটাই ভালো পারফরম্যান্স করতে কাজে লেগেছে। প্রাক্তন অধিনায়কের দাবি, ‘আমি কিছু দিনের ছুটি নিয়েছিলাম। এই ম্যাচ খেলার আগে দু’টি মাত্র অনুশীলন সেশনে নেমেছিলাম। তাই বাংলাদেশ সফরের পর আমি বেশ তরতাজা ছিলাম। ঘরের মাঠে খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। ওপেনাররা রান করে আমাকে নিজের মতো খেলার সুযোগটা করে দিয়েছিল। ভালো লাগছে শেষ পর্যন্ত আমরা রানের গতিটা ধরে রাখতে পেরেছিলাম বলে।’
সেই সঙ্গে ম্যাচের শেষে তাঁর উপলব্ধি, ‘আমি একটা কথা বুঝেছি, হতাশা আমাদের বিভ্রান্ত করে। সঠিক কারণে খেলতে হবে। এবং সব ম্যাচ নিজের শেষ ম্যাচ ধরে নিয়ে খেলতে হবে। খুশিতে থাকতে হবে। ম্যাচ গড়িয়ে যাবে এবং নিজের জায়গায় খুশি থাকতে হবে। শুধু খেলার দিকে মন দিতে হবে। মজা করতে হবে। মাঠে নেমে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি।’
বহু দিন বাদে বিরাট কোহলিকে পুরনো মেজাজে পাওয়া যাচ্ছে। পরপর ২টি ওডিআই-এ শতরান করেছেন। তবে কোহলি এখন প্রতিটা ম্যাচকে শেষ ম্যাচ ভেবে নিয়েই খেলতে নামেন। বলেও দিয়েছেন, ‘নিজের সেরাটা দিয়ে খেলতে হবে। আমি এখন সব ম্যাচকে নিজের শেষ ম্যাচ ভেবে খেলি। কারণ, আমি তো সারা জীবন খেলব না। কিন্তু ক্রিকেট থেকে যাবে। তাই শুধু উপভোগ করতে হবে। সেটাই এখন করছি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার প্রস্তুতি এবং লক্ষ্য সব সময়েই এক থাকে। আমার মনে হয়েছিল, ঠিকঠাক বল মারছি। আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের অতিরিক্ত ২৫-৩০ রান দরকার। দ্বিতীয়ার্ধের কন্ডিশন বোঝার চেষ্টা করেছি। বোর্ডে আমাদের জন্য বড় রান সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি।’
নিজের ফিটনেস নিয়ে বিরাট বলেন, ‘বয়স বাড়ছে, তাই কী খাচ্ছি সে দিকে নজর রাখি। সেটাই আমাকে ফিট থাকতে সাহায্য করে। দলের হয়ে ১০০ শতাংশ দিতে সাহায্য করে।’