অঘটন বললে একটা টিমকে ছোট করা হবে। যোগ্য দল হিসেবেই জয়। তবে এই জয় অবাক করার মতোই। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিল আফগানিস্তান। ঠিকই পড়ছেন। গত বারের চ্যাম্পিয়নকে হারাল আফগানরা। ব্যাটিং, বোলিং এবং স্নায়ুর চাপ। সব বিভাগেই ইংল্যান্ডকে টেক্কা দিল আফগানিস্তান। বোর্ডে বড় রান তোলার পর আফগান স্পিনারদের অনবদ্য পারফরম্যান্স। কাকে ছাড়া কার কথা বলবেন! যে যতই বলুক, এ বারের টুর্নামেন্টের প্রথম অঘটন। পরিষ্কার বলা যায়, যোগ্যতায় ইংল্যান্ডকে হারাল আফগানিস্তান।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। তার প্রথম কারণ, ম্যাচটি দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। এই মাঠে প্রথম ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড হয়েছে। গত ম্যাচ এই মাঠেই খেলেছে আফগানিস্তান। রান তাড়ায় অতি সহজেই জিতেছে ভারত। এই মাঠে গত দুই ম্যাচের পরিসংখ্যান থেকেই রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। তাদের ব্যাটিং আক্রমণ বিশ্বের অন্যতম সেরা। কিন্তু সব বিভাগেই বাজিমাত করল আফগানিস্তান।
রহমানুল্লা গুরবাজ এবং ইকরাম আলি খিলের অনবদ্য ব্যাটিং। ইংল্যান্ড বারবার ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। তবে আফগানিস্তানের লোয়ার অর্ডারও দুর্দান্ত ব্যাট করে। যদিও এক বল বাকি থাকতেই ২৮৪ রানে অলআউট আফগানিস্তান। দিল্লির পিচে আগের দু-ম্যাচে যাই হয়ে থাক না কেন, এই স্কোর সহজ ছিল না। ইংল্যান্ডের সামনে যথেষ্ঠ চ্যালেঞ্জিং স্কোর। কাগজ কলম, বিশ্ব ক্রমতালিকা ভুলে আফগান বোলারদের ভালো পারফর্ম করতে হত। সেটাই করে দেখালেন মুজিব উর রহমান, রশিদ খানরা।
ইংল্যান্ডকে একের পর এক ধাক্কা আফগানিস্তানের। শুরুটা করেন বাঁ হাতি পেসার ফজলহক ফারুকি। জনি বেয়ারস্টোকে ফেরান তিনি। দুই স্টার স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান তিনটি করে উইকেট নেন। তবে ভুললে চলবে না নবীন উল হকের পারফরম্যান্সও। চোখ ধাঁধানো ডেলিভারিতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারের উইকেট ছিটকে দেন নবীন। আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট। ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার ম্যাচের আগে বলেছিলেন, যে কোনও দলকে হারানোর মতো আফগানিস্তানের মধ্যে সেই আগুন রয়েছে। তাঁর দেশের বিরুদ্ধেই সেই আগুনে পারফরম্যান্স আফগান ক্রিকেটারদের।
এক যুগ আগে ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে আয়ার্ল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড। ২০১৫ বিশ্বকাপে তাদের হারায় বাংলাদেশ। এ বার আফগানিস্তানের কাছে হার বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।