কল সেন্টার প্রতারণা চক্রের কিং-পিন কুণাল গুপ্তার ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি। বৃহস্পতিবার কুণালের অফিস, সংস্থার প্রাক্তন কর্মীদের বাড়ি-সহ ১০ জায়গায় গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালায় ইডি। সেই তল্লাশিতে উদ্ধার হওয়া নথি থেকেই এই সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে দুবাই-সহ একাধিক দেশে মিলেছে বাড়ির হদিশ। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে বহু সম্পত্তির নথি উদ্ধার হয়েছে। এই সূত্র ধরেই ইডি-র অনুমান প্রতারণার টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।
তদন্তকারীদের হাতে এ তথ্য়ও এসেছে যে, দীর্ঘদিন ধরেই দুবাইতে থাকতেন কুণাল। তাঁর নামে এর আগে লুক আউট সার্কুলারও জারি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কুণালের বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে কুণাল নিজেই এসে হাজির হয়েছিলেন ইডি দফতরে। আদালতের একটি রায়ের কপি দেখিয়ে তিনি বলেন, তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে কোর্ট। সে সময়ে কুণালকে গ্রেফতার করতে পারেনি ইডি।
প্রসঙ্গত, প্রথমে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা ভুয়ো কলসেন্টার চক্রের পর্দাফাঁস করে। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের বেঙ্গল ইন্টেলিজেন্স পার্কের ১৩ তলায় বিনীত টেকনোলজিস্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক কলসেন্টারের হদিশ মেলে। সেখানেই হানা দিয়ে প্রতারণা চক্রের হদিশ পান তদন্তকারীরা। এরপর সল্টলেকে একের পর একে ভুয়ো কলসেন্টারে তল্লাশি চালাতে থাকেন তদন্তকারীরা। এই কল সেন্টারগুলো মূলত বিদেশি নাগরিকদের ফোন করা হতো টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে। এরপর তাঁদের ব্যাঙ্ক ডিটেইল নিয়ে চলতো প্রতারণা।
কিন্তু এই চক্রের কিংপিন কুণাল গুপ্তা দীর্ঘদিন ধরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বলেই খবর। গত শুক্রবার একটি নতুন মামলায় কুণাল গুপ্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ইডি। সূত্রের খবর, কুণাল গুপ্তা তখন ইডি আধিকারিকদের জানান, তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিতে হবে। এই বাহানা করে তিনি ইডি-র হাজিরা এড়াতে চাইলেও কলকাতা হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, তাঁকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাঁকে ইডি দফতরেই হাজিরা দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেন। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।