সংখ্যালঘু স্কলারশিপ কেলেঙ্কারির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। সূত্রে খবর, ১৪৪ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে দুর্নীতি দমন আইন ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র প্রতারণার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, ২১টি রাজ্যে সংখ্যালঘুদের স্কলারশিপ নিয়ে গরমিলের তথ্য হাতে এসেছে সংখ্যালঘু মন্ত্রকের। তার ভিত্তিতে গত ১০ জুলাই সিবিআই-এর কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়, ২১টি রাজ্যে ১৫৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৩০টি ভুয়ো প্রতিষ্ঠানের সন্ধান মিলেছে। ওই ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্য়মেই ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল এই পাঁচ বছরের মধ্যে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের স্কলারশিপের নামে এই মন্ত্রকে ১৪৪ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠছে।
সম্প্রতি ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালের মাধ্যমে ১৫০০ বেশি সন্দেহজনক প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন করা হয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের তরফে। সেখানেই ধরা পড়ে ৮৩০টি ভুয়ো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা ভুয়ো ভাবে সংখ্যালঘু স্কলারশিপের আবেদন জানায়। সেখান থেকেই দুর্নীতির বীজ রোপিত হয়। কেবল সংখ্যালঘু মন্ত্রকই নয়, এই রাজ্যেও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনটি আলাদা অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এর পাশাপাশি এ তথ্যও মিলেছে যে, ২১টি রাজ্যের যে তালিকা সংখ্যালঘু মন্ত্রকের তরফে তৈরি করা হয়েছে, তাতে প্রথমেই রয়েছে অসম। সেখানে ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা রয়েছে ২২৫টি। তারপর কর্ণাটক, সেখানে ১৬২টি, উত্তরপ্রদেশে ১৫৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। বাংলায় এরকম ১৪টি ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এফআইআর দায়ের করে এবার সেই গরমিলের তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।