ভার্চুয়ালি আদালতে আর জি করের ধৃত, ১৪ দিনের জেল হেফাজত

কলকাতা : আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেয়।

শুক্রবার শিয়ালদা আদালতে সঞ্জয় রায়কে নিরাপত্তাজনিত কারণে সশরীরে পেশ করা হয় নি৷ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকেই তাঁর ভার্চুয়াল শুনানি করায় সিবিআই।সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে পৌঁছনোর পরে ধৃতের আইনজীবী জানান, এর আগে সিবিআইয়ের তরফে যে আইনজীবীকে তাঁরা দেখেছিলেন, তিনি আসেননি। দীপক পোরিয়া জানান, তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থা নিযুক্ত পূর্ণ সময়ের আইনজীবী। ধৃতের জামিনের বিরোধিতা করেন তিনি। তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারক। বিরক্তির সুরে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘তবে কি এই মামলায় জামিন দিয়ে দেব?’ সাড়ে ৪টে বাজছে, আইনজীবী আর কখন আসবেন? দেখুন কোথায় আছেন!’’ শিয়ালদহ আদালতে অন্তত ৪০ মিনিট দেরিতে আসেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী।

এর আগে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে যখন আলিপুর বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়, সেই সময়ে তাঁকে দেখে চরম বিক্ষোভে সামিল হন সেখানকার আইনজীবীরা। পরে আদালত থেকে বের করার সময় সন্দীপ ঘোষকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে। কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের উপরও আদালত চত্বরে একই ধরনের হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেন নি সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা ৷

সেই কারণেই সঞ্জয় রায়কে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে শিয়ালদা আদালতে আনতে চায় নি সিবিআই৷ পরিবর্তে সংশোধনাগারের মধ্যে থেকেই তাঁকে আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করেন তদন্তকারীরা। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × one =