লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকা করে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। এমনটাই দাবি নির্বাচন কমিশনের। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, গত ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকা করে বেআইনি নগদ বাজেয়াপ্ত করছে কমিশনের আধিকারিকরা।
কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মোট ৪ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। যা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। একটি বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ‘দেশের ৭৫ বছরের লোকসভা নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম সর্বাধিক নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে কমিশন।’ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটারদের প্ররোচিত করার জন্য এই অর্থের ব্যবহার হচ্ছিল বলেও সূত্র মারফত খবর।
এদিকে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল ফোর এম-এর বিরুদ্ধে তাদের এবারের লড়াই। ফোর এম অর্থাৎ, ‘মানি পাওয়ার’, ‘মাস্ল পাওয়ার’, ‘মিসইনফরমেশন’ এবং ‘মডেল কোড অফ কডাক্ট লঙ্ঘন’। সেই কারণেই এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। ভোটে ‘মানি পাওয়ার’ ও ‘মাস্ল পাওয়ার’ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ‘মানি পাওয়ার’ থাকলে ‘মাস্ল পাওয়ার’ তৈরি হয়। আর্থিক ক্ষমতাকে ভোটে ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা যাতে কোনওভাবেই না হয়, তার জন্য একাধিক কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কমিশনের পক্ষ থেকে। তারই ফলস্বরূপ প্রথম দফা নির্বাচনের আগেই কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়া।
প্রসঙ্গত, দেশের ১৮তম সাধারণ নির্বাচন শুরু হচ্ছে আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে। ১ জুন পর্যন্ত মোট সাত দফায় নির্বাচন চলবে দেশে। আর প্রথম দফার আগেই ৪ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার নগদ বাজেয়াপ্ত করে রেকর্ড গড়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।