আর ঠিক ৪দিন পর এক মাস পূর্ণ হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি বহুদিনের এক স্বপ্নপূরণ হয়েছিল মুম্বইয়ের এক ছেলের। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা যাঁকে মনে প্রাণে দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চাইতেন। সেই তিনি সরফরাজ খান। রাজকোটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। ডেবিউ টেস্টেই তিনি প্রমাণ করেছিলেন, যে রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়রা তাঁর উপর আস্থা রেখে ভুল করেননি। স্বপ্নের অভিষেক টেস্ট সিরিজ কাটিয়েছেন সরফরাজ খান। জাতীয় দলের ক্রিকেটার তকমা পাওয়ার এক মাসের মধ্যেই তাঁর আর এক স্বপ্নভঙ্গ হতে চলেছে।
অভিষেক টেস্ট সিরিজে ৩টি ম্যাচে ৫টি ইনিংসে খেলেছেন সরফরাজ খান। তাতে করেছেন মোট ২০০ রান। রয়েছে ৩টি হাফসেঞ্চুরি। যে কারণে তাঁর টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর থেকে ক্রিকেট মহলে অনেকেই বলাবলি করছিলেন যে এ বার একটা আইপিএল টিম পেয়ে যাবেন সরফরাজ। কারণ, ২০২৪ সালের আইপিএলের নিলামে কোনও টিম পাননি সরফরাজ। আপাতত পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে সরফরাজ খান আর এ বার আইপিএল টিম পাবেন না বলেই ধরে নেওয়া যায়।
অবশ্য, আসন্ন আইপিএলে সরফরাজ খানের খেলার দু’টো সুযোগ এখনও টিমটিম করে জ্বলছে। এক, যেহেতু সরফরাজ খানকে কোনও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি দুবাইতে হওয়া আইপিএলের মিনি নিলামে কেনেননি, তাই যে কোনও দল মুম্বইয়ের ২৬ বছরের ডান হাতি ব্যাটারকে কিনতে পারে। দুই, যদি ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে কোনও এক টিমের একজন প্লেয়ার চোট পান, বা ব্যক্তিগত কারণে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ান সেক্ষেত্রে তাঁর পরিবর্ত হিসেবে কোনও টিম সরফরাজ খানকে নিতে পারে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সরফরাজ খানের অভিষেক হয়েছে ২০১৫ সালে। গত আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস টিমের হয়ে ৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি। মাত্র ৫৩ রান করেছিলেন ওই ৪ ম্যাচে। যে কারণে আইপিএল-২০২৪ এর মিনি নিলামের আগে সরফরাজকে রিলিজ করে দেয় দিল্লি।