কাজ দেওয়ার নামে তিন ছাত্রীকে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে ধৃত ১

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: কাজ দেওয়ার নাম করে ও স্মার্ট ফোন কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তিন ছাত্রীকে পাচারের উদ্দেশ্যে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয়েছে তিন ছাত্রীকে। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক মহিলাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা এলাকার।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভালো মাইনের কাজ ও স্মার্ট ফোনের লোভ দেখিয়ে ইন্দাস থানা এলাকার নবম শ্রেণির তিন ছাত্রীকে গত ১২ জুলাই প্রথমে বর্ধমান ও পরে ট্রেনে করে মালদা স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে লক্ষ্মী হেমব্রম নামের এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, ßুñলে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে যাওয়া ওই তিন ছাত্রীই ছুটির দীর্ঘসময় পরেও বাড়ি ফিরে না আসায় সন্দেহ হয় তাদের। এরপরই ওই তিন ছাত্রীর পরিবার দ্বারস্থ হয় ইন্দাস থানার।
১৩ জুলাই মালদা স্টেশনে নামার পর ওই তিন ছাত্রীর মধ্যে একজন স্থানীয় এক টোটোচালকের ফোন থেকে বাড়িতে ফোন করে জানায়, তারা কাজের লোভে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেঙ্গালুরু এসে পৌঁছেছে। সন্দেহ হওয়ায় পরিবারের তরফে ফের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফোন নম্বরটি দেওয়া হয়। এরপর সেই ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে ওই তিন ছাত্রী উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পৌঁছে স্থানীয় একজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তড়িঘড়ি কালিয়াগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানানো হলে সেখানকার পুলিশ দ্রুত ওই বাড়িতে হানা দিয়ে তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করে। আটক করা হয় ওই তিন ছাত্রীর সঙ্গে থাকা লক্ষ্মী হেমব্রমকেও। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই তিন ছাত্রী সহ লক্ষ্মী হেমব্রমকে ইন্দাস থানায় নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার তাদের বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পাঠায় পুলিশ। তিন ছাত্রীর পরিবারের দাবি, অসৎ কাজে লাগানোর জন্য এবং অন্যত্র পাচারের উদ্দেশ্যেই ওই তিন ছাত্রীকে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 5 =