কলকাতা: মস্তিষ্কের সিংহভাগ জুড়ে দেড় কেজির বিশাল টিউমার। অপারেশনে একটু এদিক-ওদিক হলেই প্রাণহানি হতে পারে রোগীর। আবার অপারেশন না হলেও মৃত্যু অবধারিত।
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেই টিউমার অপারেশন করে তরুণীর প্রাণ বাঁচালেন কলকাতার এনআরএস হাসপাতালের শল্য চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, ঘন ঘন বমি হচ্ছিল তরুণীর। সেই সঙ্গে মাথায় তীব্র যন্ত্রণা। দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে বসেছিল। কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে তরুণীকে নিয়ে এলে ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখেন ব্রেনের সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে বিশাল টিউমার। সঙ্গে সঙ্গেই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তাররা। এনআরএসের নিউরোসার্জারি বিভাগ সফল অপারেশন করে রোগীর প্রাণ বাঁচিয়েছে।
নিউটাউনের বাসিন্দা সোমা সরকার নামে ওই তরুণীর মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোবে বাসা বেঁধেছিল টিউমার। এনআরএসের নিউরোসার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ পার্থসারথি দত্তের নেতৃত্বে মেডিক্যাল টিম ওই তরুণীর অপারেশন করে। ডাক্তাররা বলছেন, তরুণীর ব্রেনে টিউমারটি বাড়ছিল। ওজন ছিল প্রায় দেড় কেজির মতো। ফ্রন্টাল লোবের এই টিউমারকে ডাক্তারি ভাষায় বলে মেনিনজিওমা। সঠিক সময়ে অপারেশন না হলে টিউমার ফেটে তরুণীর মৃত্যু হতে পারত।
টিউমারটির প্রকৃতি জানতে, তা ক্যানসারাস কিনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য হিস্টোপ্যাথোলজি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
ব্রেন টিউমারের লক্ষণ বিভিন্ন রকমের। তার মধ্যে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ কমে যাওয়া অন্য তম প্রধান। এ ছাড়াও অনেক সময় রোগীর û খিঁচুনি হতে পারে অথবা শরীরের যে কোনো এক দিকের হাত বা পা দুর্বল হয়ে যায় অথবা তার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে অর্থাৎ তার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেবে। পোস্ট সার্জারি পর্বেও অনেকের হাতে-পায়ে ব্যথা, খিঁচুনি হতে দেখা যায়। কিন্তু অপারেশনের পর তরুণীর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি বলেই জানিয়েছেন ডাক্তারবাবুরা।