১ এপ্রিল থেকে দু’দফায় হবে শিবির। প্রথম দফায় নেওয়া হবে আবেদনপত্র, দ্বিতীয় দফায় চলবে শংসাপত্র দেওয়া এবং সংশোধনের কাজ। তবে এবারে আরও একটি বিষয় উল্লেখ্য, নবান্নের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে বুথ স্তরে করতে হবে দুয়ারে সরকারের শিবির। এদিকে এই দুয়ারে শিবিরের খরচ নিয়ে বিরোধী শিবির থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই একটি দুয়ারে সরকার করতে গড়পড়তা খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। যেখানে ডিএ দেওয়ার টাকা নেই, রাজ্যের কোষাগার ফাঁকা, সেখানে কীভাবে ২৫০ কোটির টাকার কর্মসূচি করছে শাসক দল প্রশ্ন তোলা হয় তা নিয়েও। এই প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদের কটাক্ষ, ‘আমাদের স্কিমগুলো নিয়ে বিরোধীরা বড়ই চিন্তিত এবং ভীত হয়ে রয়েছে। দুয়ারে সরকার হলে মানুষের ঘরে ঘরে পরিষেবা পৌঁছে যাবে বা গিয়েছে। সেটা নিয়েই চিন্তিত বিরোধীরা। এত অপপ্রচার সত্ত্বেও মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি নেই। এটাই সমস্যা হচ্ছে।‘
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর রাজ্যে পঞ্চম দফার দুয়ারে সরকার শুরু হয়েছিল। দু’দফায় মেয়াদ বেড়ে তা চলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলেছিল। এদিকে সূত্রে খবর মিলছে, দুয়ারে সরকারের শিবিরে প্যান্ডেল করা, টেবিল-চেয়ারের ভাড়া, শিবির চালাতে লোক, তাঁদের সকাল দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা, প্রচারের একটা খরচ সব মিলিয়ে অঙ্কটা বেশ ভালই। লক্ষ লক্ষ তথ্য নথিবদ্ধ করার জন্য টাকা দিতে হয় ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের। সূত্রে খবর, প্রতিটি বড় শিবিরে গড়পড়তা ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েই যায়।
এদিকে পুরমন্ত্রী অবশ্য জানাচ্ছেন অন্য কথা। তাঁর বক্তব্য, ওত টাকা খরচ হবে না। তিনি বলেন, ‘খরচ তেমন কিছু হয় না। কারণ বেশিরভাগ দিনই আমরা স্কুলে বা ছুটির দিনে যখন স্কুল বন্ধ থাকে বা ক্লাব অথবা কোনও সামাজিক প্রতিষ্ঠান যেখানে সকালে কোন কাজকর্ম থাকে না, সেই জায়গাগুলো বেছে নিয়ে কাজকর্ম করে থাকি। আর একটু টেবিল চেয়ার পেতে নিই। আমাদের আধিকারিকরা রয়েছেন সেই কাজের জন্য। খুব যে টাকা পয়সা খরচ হয় তা নয়। স্থানীয় ছেলেরাই যাবতীয় কাজকর্ম করে থাকে।’ তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের যেখানে যেখানে এই কর্মসূচি বা ক্যাম্প হয় সেখানে স্থানীয়দের সেই কারণেই যুক্ত করা হয়। সামান্য টিফিনের ব্যবস্থা থাকে। তার জন্য খুব একটা খরচ হয় না।’
এদিকে বিরোধী শিবির থেকে পরিসংখ্যান তুলে জানানো হচ্ছে, রাজ্যে বুথ রয়েছে ৬১ হাজারের কিছু বেশি। আর রাজ্য সরকার ৮২ হাজারের বেশি শিবির করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে ৮২ হাজারের বেশি শিবিরে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা পুরমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে মিল খাচ্ছে না।