হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি বিদ্যালয় সংলগ্ন চত্বর থেকে দুশোর বেশি মূল্যবান গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এলাকারই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মধ্যক্ষ। এব্যাপারে সরাসরি ব্লক প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে, হরিশচন্দ্রপুর থানার এলাকার কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে। ওই বাগানে ছিল বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান প্রচুর গাছ। আর সেখান থেকে অবৈধ ভাবে গাছ কাটার অভিযোগ উঠছে এলাকারই এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, বনদপ্তরের কর্তার অনুমতি নিয়ে তিনি গাছ কেটেছেন। কিন্তু বন দপ্তর থেকে কি ভাবে এতগুলি গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানিয়েছেন, এই ভাবে এতগুলি গাছ কাটা যায় না। প্রশাসন ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধক্ষ্য আদিত্য মিশ্র বলেন, বিষয়টি শুনেছি এ ব্যাপারে বনদপ্তর এবং ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, পাঁচটির বেশি গাছ কাটা যায় না। একটি গাছ কাটলে পাঁচটি গাছ লাগাতে হয়। তাও গাছ কাটা হয় সরকারি কোনো কাজের প্রয়োজন পড়লে এবং জনস্বার্থে। তাও একসঙ্গে এতগুলো গাছ। আমি সমস্ত ব্যাপারটা খতিয়ে দেখব। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।যদিও ব্যবসায়ীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।